Surah An Nahl Tafseer
Tafseer of An-Nahl : 61
Saheeh International
And if Allah were to impose blame on the people for their wrongdoing, He would not have left upon the earth any creature, but He defers them for a specified term. And when their term has come, they will not remain behind an hour, nor will they precede [it].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬১-৬২ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দয়া, অনুগ্রহ ও ধৈর্য সম্পর্কে অবগত করছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা মানুষের অপরাধের কারণে তাদেরকে সাথে সাথে শাস্তি প্রদান করেন না। যদি তাদের অপরাধের কারণে সাথে সাথে শাস্তি প্রদান করতেন তবে জমিনে কোন একটি প্রাণী জীবিত থাকত না। সকল বস্তুই ধ্বংস হয়ে যেত। কারণ যখন পাপ কাজ ব্যাপক হয়ে পড়ে, তখন আযাবে সৎ লোকদেরও ধ্বংস করে দেয়া হয়। তবে আখিরাতে সৎ লোকেরা আল্লাহ তা‘আলার নিকট পুরস্কারপ্রাপ্ত হবে। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। (সহীহ বুখারী হা: ২১১৮, সহীহ মুসলিম হা: ২২০৬)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَوْ یُؤَاخِذُ اللہُ النَّاسَ بِمَا کَسَبُوْا مَا تَرَکَ عَلٰی ظَھْرِھَا مِنْ دَا۬بَّةٍ وَّلٰکِنْ یُّؤَخِّرُھُمْ اِلٰٓی اَجَلٍ مُّسَمًّیﺆ فَاِذَا جَا۬ئَ اَجَلُھُمْ فَاِنَّ اللہَ کَانَ بِعِبَادِھ۪ بَصِیْرًاﭼﺟ)
“আর যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের কাজ-কর্মের দরুণ পাকড়াও করতেন তবে দুনিয়ার বুকে একটি প্রাণীকেও রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি তাদেরকে এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন। অতঃপর যখন এসে পড়বে তাদের সেই নির্র্দিষ্ট সময়, (তখন তিনি তাদের কর্মের প্রতিফল দেবেন) আল্লাহ তো তাঁর বান্দাদের (বিষয়ে) সর্বদ্রষ্টা।” (সূরা ফাতির ৩৫:৪৫)
বরং আল্লাহ তা‘আলার হিকমত ও যৌক্তিকতার কারণে এক বিশেষ সময় পর্যন্ত অপরাধীকে অবকাশ দেয়া হয়, প্রথমতঃ যাতে তারা কোন ওযর-আপত্তি করতে না পারে। আর দ্বিতীয়তঃ যাতে তাদের সন্তানদের মধ্যে কিছু ঈমানদার ও সৎ হতে পারে। সুতরাং যখন সময় চলে আসবে তখন একটু অগ্র-পশ্চাত করা হবে না। এ সম্পর্কে সূরা ইউনুসে ও হিজর এ আলোচনা করা হয়েছে।
আর তারা আল্লাহ তা‘আলার জন্য এমন সব জিনিস সাব্যস্ত করে যা তাদের নিজেদের জন্যও পছন্দ করে না। তা হল তারা আল্লাহ তা‘আলার জন্য কন্যা সন্তান সাব্যস্ত করে, অথচ তাদেরকে সে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দিলে চেহারা মলিন হয়ে যায়।
আর তারা মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে, মিথ্যা কথাটি হল: দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম পরিণাম আমাদের জন্যই। অথচ তারা আল্লাহর সাথে শিরক করছে, আল্লাহ তা‘আলার সন্তান সাব্যস্ত করছে।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَّلَئِنْ رُّدِدْتُّ إِلٰي رَبِّيْ لَأَجِدَنَّ خَيْرًا مِّنْهَا مُنْقَلَبًا)
“আর আমাকে যদি আমার প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হয়ই তবে আমি নিশ্চয়ই এটা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্থান পাব।’’ (সূরা কাহ্ফ ১৮:৩৬) তারা আরো বলে যে, আমরা শাস্তি প্রাপ্ত হব না।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَقَالُوْا نَحْنُ أَكْثَرُ أَمْوَالًا وَّأَوْلَادًا لا وَّمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِيْنَ)
“তারা বলত: আমরা ধনে-জনে সমৃদ্ধশালী; সুতরাং আমাদেরকে কিছুতেই শাস্তি দেয়া হবে না।” (সূরা সাবা ৩৪:৩৫)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হ্যাঁ, তাদের পরিণাম ভাল হবে, তবে সে পরিণাম হল জাহান্নামের আগুন। জাহান্নামে তারাই হবে অগ্রগামী। مُّفْرَطُوْنَ অর্থ অগ্রগামী হওয়া, আগে আগে চলা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি হাওযে কাউসারে তোমাদের অগ্রগামী হব। (সহীহ বুখারী হা: ৬৫৮৪, সহীহ মুসলিম হা: ১৭৯৩)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَقِيْلَ الْيَوْمَ نَنْسٰكُمْ كَمَا نَسِيْتُمْ لِقَا۬ءَ يَوْمِكُمْ هٰذَا وَمَأْوَاكُمُ النَّارُ)
“আর বলা হবেঃ আজ আমি তোমাদেরকে ভুলে যাব যেমন তোমরা এই দিবসের সাক্ষাতকে ভুলে গিয়েছিলে। তোমাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম।” (সূরা জাসিয়া ৪৫:৩৪)
অতএব মানুষের প্রতি আল্লাহর দয়া যে, তিনি তাদের অপরাধের কারণে তাড়াতাড়ি শাস্তি দেন না। তাই মানুষের উচিত আল্লাহ তা‘আলার এ দয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজের গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নেয়া।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার দয়া যে, তিনি অপরাধের কারণে সাথে সাথে শাস্তি দেন না।
২. মানুষ অপরাধ করেও আল্লাহ তা‘আলার কাছে ভাল প্রতিদানের আশা করে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings