Surah An Nahl Tafseer
Tafseer of An-Nahl : 46
Saheeh International
Or that He would not seize them during their [usual] activity, and they could not cause failure?
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৫-৪৭ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা কুফরী, রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন ও অন্যান্য পাপ কর্ম করে থাকে তাদেরকে হুশিয়ার করে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: তারা কি নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জমিনে ধ্বসিয়ে দেবেন না অথবা তাদের এমনভাবে শাস্তি দেবেন না যে, তারা বুঝতেও পারবে না!
অথবা তারা যখন জমিনে চলাফেরা করবে তখন শাস্তি দেবেন না! এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে ১. যখন তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য বাইরে যাবে, ২. যখন কর্মব্যস্ততায় থাকবে, ৩. রাতে আরাম করার জন্য বিছানায় যাবে। অথবা তাদের অন্তরে আল্লাহ তা‘আলার আযাবের ভয় থাকাকালীন পাকড়াও করবেন না! না, নিশ্চিত ও নিরাপদ হওয়ার কিছু নেই, আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে যে কোন সময় জমিনে ধসিয়ে দিতে পারেন অথবা তাদের ওপর এমনভাবে শাস্তি নিয়ে আসবেন যে, তারা বুঝতেও পারবে না।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ءَاَمِنْتُمْ مَّنْ فِی السَّمَا۬ئِ اَنْ یَّخْسِفَ بِکُمُ الْاَرْضَ فَاِذَا ھِیَ تَمُوْرُﭟﺫاَمْ اَمِنْتُمْ مَّنْ فِی السَّمَا۬ئِ اَنْ یُّرْسِلَ عَلَیْکُمْ حَاصِبًاﺚ فَسَتَعْلَمُوْنَ کَیْفَ نَذِیْرِﭠ)
“তোমরা কি নিরাপত্তা পেয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকেসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? অতঃপর তা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে। অথবা তোমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের ওপর পাথর বর্ষণকারী বাতাস প্রেরণ করবেন না? তখন তোমরা জানতে পারবে, কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী!” (সূরা মুলক ৬৭:১৬-১৭)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(فَخَسَفْنَا بِه۪ وَبِدَارِهِ الْأَرْضَ قف فَمَا كَانَ لَه۫ مِنْ فِئَةٍ يَّنْصُرُوْنَه۫ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ق ز وَمَا كَانَ مِنَ الْمُنْتَصِرِيْنَ)
“অতঃপর আমি কারূনকে তার প্রাসাদসহ ভূগর্ভে প্রোথিত করলাম। তার স্বপক্ষে এমন কোন দল ছিল না যে আল্লাহর শাস্তি হতে তাকে সাহায্য করতে পারত এবং সে নিজেও আত্মরক্ষায় সক্ষম ছিল না।” (সূরা ক্বাসাস ২৮:৮১)
কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তা করেন না তাঁর অসীম দয়ার কারণে। তিনি মানুষকে অবকাশ দেন যাতে তারা এই সময়ের ভেতর তাওবা করে ফিরে আসতে পারে। নিজেদের ভুল-ত্র“টির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, স্বভাববিরুদ্ধ কষ্টদায়ক কথা শুনে ধৈর্য ধারণ করার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা অপেক্ষা বেশি ধৈর্যধারণকারী আর কেউই নেই। লোকেরা তাঁর সন্তান সাব্যস্ত করে অথচ তিনি তাদেরকে খেতে দিচ্ছেন এবং নিরাপদে রাখছেন। (সহীহ বুখারী হা: ৬০৯৯, সহীহ মুসলিম হা: ২৮০৪)
অন্য বর্ণনায় এসেছে: আল্লাহ তা‘আলা জালিমকে অবকাশ দেন কিন্তু যখন পাকড়াও করেন তখন অকস্মাৎ পাকড়াও করেন এবং সে ধ্বংস হয়ে যায়।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ করেন:
(وَكَذٰلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَآ أَخَذَ الْقُرٰي وَهِيَ ظٰلِمَةٌ ط إِنَّ أَخْذَه۫ٓ أَلِيْمٌ شَدِيْدٌ)
“এরূপই তোমার প্রতিপালকের শাস্তি! তিনি শাস্তি দান করেন জনপদসমূহকে যখন তারা জুলুম করে থাকে। নিশ্চয়ই তাঁর শাস্তি যন্ত্রণাদায়ক কঠিন।” (সূরা হূদ ১১:১০২)
অন্যত্র রয়েছে
(وَكَأَيِّنْ مِّنْ قَرْيَةٍ أَمْلَيْتُ لَهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ ثُمَّ أَخَذْتُهَا ج وَإِلَيَّ الْمَصِيْرُ )
“এবং আমি অবকাশ দিয়েছি কত জনপদকে যখন তারা ছিল জালিম; অতঃপর তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি এবং প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট।” (সূরা হজ্জ ২২:৪৮, সহীহ বুখারী হা: ৪৬৮৬)
সুতরাং আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত, আমাদের দ্বারা যদি কোন অন্যায় কাজ হয়েই যায় তাহলে আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব, আর তাঁর শাস্তিকে ভয় করব।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা বান্দার ওপর খুবই স্নেহপরায়ণ।
২. আল্লাহ তা‘আলা যে কোন মুহূর্তে মানুষের অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করতে সক্ষম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings