Surah An Nahl Tafseer
Tafseer of An-Nahl : 4
Saheeh International
He created man from a sperm-drop; then at once, he is a clear adversary.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩-৪ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করছেন যে, তিনি আকাশ-জমিন অযথা সৃষ্টি করেননি বরং একটি বিরাট উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্যই আল্লাহ তা‘আলা এ আকাশ-জমিন সৃষ্টি করেছেন। আর তা হল সৎ কর্মশীলদের উত্তম প্রতিদান দেয়া এবং অবাধ্যদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া। এ সম্পর্কের আলোচনা সূরা হিজর-এর ৮৫ নং আয়াতে করা হয়েছে।
সুতরাং যে আল্লাহ এ বিশাল মাখলূকাতের সৃষ্টিকর্তা সে আল্লাহর সাথে এমন কারো ইবাদত করা হবে যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না এরূপ থেকে তিনি পবিত্র ও অনেক ঊর্ধ্বে। এ জন্য আল্লাহ আকাশ-জমিন সৃষ্টির সাথে মুশরিকদের শিরক থেকে তিনি পবিত্র এ কথা সংযুক্ত করেছেন।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ جَعَلُوْا لِلّٰهِ شُرَكَا۬ءَ خَلَقُوْا كَخَلْقِه۪ فَتَشَابَهَ الْخَلْقُ عَلَيْهِمْ ط قُلِ اللّٰهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَّهُوَ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ)
“তবে কী তারা আল্লাহর এমন শরীক স্থাপন করেছে যারা সৃষ্টি করেছে আল্লাহর সৃষ্টির ন্যায়, যে কারণে সৃষ্টি তাদের নিকট সাদৃশ্য মনে হয়েছে? বল: ‘আল্লাহ সকল বস্তুর স্রষ্টা; তিনি এক, পরাক্রমশালী।’’ (সূরা রা‘দ ১৩:১৬)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(أَيُشْرِكُوْنَ مَا لَا يَخْلُقُ شَيْئًا وَّهُمْ يُخْلَقُوْنَ)
“তারা কি এমন বস্তুকে শরীক করে যারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না? বরং তারা নিজেরাই সৃষ্ট।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫১)
এ আয়াতগুলো দ্বারা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনিই সকল ইবাদত পাওয়ার হকদার, তিনিই সত্যিকার মা‘বূদ।
نُّطْفَةٍ অর্থ মিশ্রিত তরল পদার্থ। অর্থাৎ নারী ও পুরুষের মিশ্রিত তরল পদার্থ যাকে বীর্য বলা হয়। নারী ও পুরুষের ডিম্বানু ও শুক্রাণু মিশ্রিত হওয়ার পরেও ভ্রুণ নুতফা আকারে অবস্থান করে। মিশ্রিত তরল পদার্থ শুক্রাণুজাতীয় তরল পদার্থকেও বুঝানো হতে পারে যা বিভিন্ন লালাগ্রন্থির নিঃসরিত রস থেকে তৈরি হয়। এ তরল পদার্থকে বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করার পর এক পূর্ণ আকার দান করা হয়। তারপর তাতে রূহ বা জীবন দান করা হয়। এরপর তা মায়ের পেট হতে পৃথিবীতে বাচ্চা আকারে বের হয়ে আসে। পৃথিবীতে সে জীবন যাপন করতে করতে যখন জ্ঞানপ্রাপ্ত হয় তখন সে প্রতিপালক আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করে, তাঁকে অস্বীকার করে। কিংবা আল্লাহর সাথে শিরক করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَھُوَ الَّذِیْ خَلَقَ مِنَ الْمَا۬ئِ بَشَرًا فَجَعَلَھ۫ نَسَبًا وَّصِھْرًاﺚ وَکَانَ رَبُّکَ قَدِیْرًاﮅوَیَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللہِ مَا لَا یَنْفَعُھُمْ وَلَا یَضُرُّھُمْﺚ وَکَانَ الْکَافِرُ عَلٰی رَبِّھ۪ ظَھِیْرًاﮆ)
“এবং তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি হতে; অতঃপর তিনি তার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন। তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান। তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ‘ইবাদত করে যা তাদেরকে উপকার করতে পারে না এবং তাদের অপকারও করতে পারে না, কাফির তো স্বীয় প্রতিপালকের বিরোধী।” (সূরা ফুরকান ২৫:৫৪-৫৫) خَصِيْمٌ অর্থ প্রকট ঝগড়াটে।
অতএব মানুষকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য হল মানুষ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে, অন্য কারো নয়। তাই মানুষের উচিত তাদের সৃষ্টির প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা, এবং শয়তানের পথ অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকা।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আকাশ ও জমিন অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি।
২. মানুষকে মিশ্রিত তরল পদার্থ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৩. যিনি সৃষ্টিকর্তা তিনি সকল ইবাদত পাওয়ার হকদার।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings