Surah An Nahl Tafseer
Tafseer of An-Nahl : 124
Saheeh International
The sabbath was only appointed for those who differed over it. And indeed, your Lord will judge between them on the Day of Resurrection concerning that over which they used to differ.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২৪-১২৫ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে যে, ইয়াহূদীরা শনিবারের ব্যাপারে মতানৈক্য করেছিল। তাদের ইবাদতের জন্য শুক্রবারকে নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারা এটা মেনে নেয়নি। তারা ইবাদতের জন্য শনিবারকে বেছে নেয়। আর খ্রিস্টানরা রবিবারকে বেছে নেয়। আর মুসলিমদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা স্বয়ং শুক্রবারকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। হাদীসে এসেছে, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেন, আমরা সবার পরে হয়েও কিয়ামতের দিন সবার আগে থাকব। যদিও তারা আমাদের পূর্বে কিতাব লাভ করেছে। অতঃপর এই দিনটি (শুক্রবার) তাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে মতানৈক্য করল। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। মানুষেরা এ ব্যাপারে আমাদের অনুসারী। ইয়াহূদীরা আমাদের পরের দিন এবং খ্রিস্টানরা পরের দিনের পরের দিন। (সহীহ বুখারী: ৮৭৬, সহীহ মুসলিম: ৮৫৫)
আর এটাই ছিল তাদের মতানৈক্যের বিষয়।
(ادْعُ إِلٰي سَبِيْلِ رَبِّكَ....)
উক্ত আয়াতে ইসলাম প্রচার ও তাবলীগের মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে। তা হল মানুষকে দীনের দিকে আহ্বান করতে হবে হিকমত দ্বারা এবং সদুপদেশের মাধ্যমে। এখানে হিকমত বলতে ঐ পদ্ধতিকে বুঝানো হয়েছে, স্থান-কাল-পাত্রভেদে যে পদ্ধতি অবলম্বন করলে মানুষের বুঝতে সুবিধা হবে এবং উপযোগী হয়। আর তা হতে হবে কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে। ঐ দীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে যদি তর্কও করতে হয় তাহলে তা হতে হবে সদ্ভাবে। কর্কশ ও রূঢ় স্বভাবের হওয়া চলবে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَا تُجَادِلُوْآ أَهْلَ الْكِتٰبِ إِلَّا بِالَّتِيْ هِيَ أَحْسَنُ)
“তোমরা উত্তম পন্থা ব্যতীত কিতাবীদের সাথে বিতর্ক কর না।” (সূরা আনকাবুত ২৯:৪৬)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন যে,
(فَقُوْلَا لَه۫ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّه۫ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشٰي)
‘তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।’ (সূরা ত্বা-হা- ২০:৪৪)
তবে দাওয়াতকে উপক্ষো করে যদি মুসলিমদের ওপর হামলা করে তাহলে তাদেরকে সেভাবেই জবাব দিতে হবে যেভাবে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জবাব দিয়েছেন।
সুতরাং হে নাবী! দাওয়াতী কাজ উল্লিখিত নীতি অনুসারে চালিয়ে যাও, কে সুপথ পাবে আর কে পথ ভ্রষ্ট হবে তা আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন। তবে পথভ্রষ্ট ও মিথ্যুকদের অনুসরণ করা যাবে না।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيْلِه۪ ص وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِيْنَ - فَلَا تُطِعِ الْمُكَذِّبِيْنَ )
“তোমার প্রতিপালক ভালভাবে জানেন যে, কে তাঁর পথ হতে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি তাদের সম্পর্কেও ভাল জানেন যারা হেদায়েত প্রাপ্ত। অতএব তুমি মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের অনুসরণ কর না।” (সূরা ক্বালাম ৬৮:৭-৮)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. উম্মতে মুহাম্মাদী পরে এসেও কিয়ামতের দিন অগ্রগামী হবে।
২. জুমু‘আ/শুক্রবারের মর্যাদা জানা গেল।
৩. দীনের পথে সুন্দরভাবে হিকমতের মাধ্যমে মানুষকে ডাকতে হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings