Surah An Nahl Tafseer
Tafseer of An-Nahl : 112
Saheeh International
And Allah presents an example: a city which was safe and secure, its provision coming to it in abundance from every location, but it denied the favors of Allah . So Allah made it taste the envelopment of hunger and fear for what they had been doing.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১০-১১৩ নং আয়াতের তাফসীর:
(ثُمَّ اِنَّ رَبَّکَ لِلَّذِیْنَ ھَاجَرُوْا... وَھُمْ لَا یُظْلَمُوْنَ)
আল্লাহ তা‘আলা এখানে ঘোষণা করেন যে, যদি কেউ হিজরত করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং নির্যাতিত হয় ও পরে আবার হিজরত করে মুসলিমদের দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় এবং ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
উক্ত আয়াতগুলোতে তাদের কথাই আলোচনা করা হয়েছে যারা তাদের ঘর-বাড়ি, সম্পদ ছেড়ে আল্লাহ তা‘আলার পথে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হিজরত করেছে। আর হিজরত করার পর পুনরায় ইসলাম ত্যাগ করে কুফরী ধর্ম গ্রহণ করার জন্য কাফিরদের হাতে অত্যাচারিত হয়েছে তথাপি ইসলাম ত্যাগ করেনি। বরং তাদের ঈমান আরও মজবুত হয়েছে। প্রচণ্ড কষ্টের সময় ধৈর্য ধারণ করেছে এবং আল্লাহ তা‘আলার পথে তাঁর শত্র“দের সাথে যুদ্ধ করেছে এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, কিয়ামতের দিন মানুষ তাদের নিজেদের কৃতকর্মের পক্ষে যুক্তি পেশ করবে। আর আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেককে তাদের কৃতকর্মের ফলাফল দান করবেন। কারো ওপর বিন্দু পরিমাণ জুলুম করবেন না।
(وَضَرَبَ اللہُ مَثَلًا قَرْیَةً کَانَتْ اٰمِنَةً... وَھُمْ ظٰلِمُوْنَ)
এখানে قرية বা জনপদ বলে মক্কা নগরীকে বুঝানো হয়েছে। তারা তথায় নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করছিল। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে সেখানে বিভিন্ন স্থান হতে জীবিকা দানসহ তাদের ওপর আরো অসংখ্য নেয়ামত দান করলেন।
যেমন ইবরাহীম (عليه السلام)-এর কথা:
(وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيْمُ رَبِّ اجْعَلْ هٰذَا بَلَدًا اٰمِنًا وَّارْزُقْ أَهْلَه۫مِنَ الثَّمَرٰتِ)
“আর স্মরণ কর! যখন ইবরাহীম বললেন: হে আমার রব! এ স্থানকে তুমি নিরাপত্তাময় শহরে পরিণত কর এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তাদেরকে জীবিকার জন্য ফল-শস্য প্রদান কর।” (সূরা বাকারাহ ২:১২৬)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(لِاِیْلٰفِ قُرَیْشٍﭐﺫ ا۪لٰفِھِمْ رِحْلَةَ الشِّتَا۬ئِ وَالصَّیْفِﭑﺆ فَلْیَعْبُدُوْا رَبَّ ھٰذَا الْبَیْتِﭒﺫ الَّذِیْٓ اَطْعَمَھُمْ مِّنْ جُوْعٍﺃ وَّاٰمَنَھُمْ مِّنْ خَوْفٍﭓﺟ)
“কুরাইশদের অনুকূল (ও নিরাপদ) হওয়ার কারণে। শীত ও গ্রীষ্ম কালের (ব্যবসায়িক) সফরে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে। অতএব তাদের এ ঘরের প্রতিপালকেরই ইবাদত করা উচিত। যিনি ক্ষুধায় তাদের খাবার দান করেছেন এবং তাদেরকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রেখেছেন।” (সূরা কুরাইশ ১০৬:১-৪)
আর তাদের ওপর সবচেয়ে বড় নেয়ামত ছিল, তাদের স্বগোত্র থেকে আল্লাহ তা‘আলা তাদের নিকট একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন। অতঃপর তারা যখন আল্লাহ তা‘আলার এই নেয়মাত তথা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অস্বীকার করল তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে আস্বাদন করালেন ক্ষুধা ও ভীতির স্বাদ। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বদ দু‘আর ফলে তাদের অবস্থা এমন হয়েছিল যে, তারা হাড় ও গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করত।
যেমন হাদীসে এসেছে: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে অভিশাপ করে বলেছিলেন:
(اللّٰهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَي مُضَرَ وَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ)
হে আল্লাহ! মুযার গোত্রকে কঠিনভাবে ধর এবং তাদের ওপর এমন অনাববৃষ্টি দাও যেমন ইউসুফ (عليه السلام)-এর যুগে মিসরে হয়েছিল। (সহীহ বুখারী হা: ৪৮২১, সহীহ মুসলিম হা: ২১৫৩)
সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা এবং তাঁর দাওয়াতকে বর্জন করে তাঁকে কষ্ট দেয়ার ফলে তাদের প্রতি এ শাস্তি নেমে এসেছিল।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মক্কার মর্যাদা সম্পর্কে জানা গেল।
২. নেয়ামতসমূহের শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অস্বীকার করার ফলে তৎকালীন মক্কার মুযার গোত্র যে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিল তা জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings