Surah An Nahl Tafseer
Tafseer of An-Nahl : 109
Saheeh International
Assuredly, it is they, in the Hereafter, who will be the losers.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০৪-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন যে, তিনি শুধু ঈমানদারদেরকেই হিদায়াত দান করেন। কোন কাফির-মুশরিককে নয়। তারা তো শুধু মিথ্যা ও বানোয়াট কথাই বলে বেড়ায়। তারা কখনো সুপথ লাভ করবে না। প্রশ্ন হতে পারে ঈমানদাররা তো সঠিক পথে রয়েছে, তাদের হিদায়াতের প্রয়োজন নেই, হিদায়াত তো দরকার হল কাফির-মুশরিকদের। উত্তর হল কাফির-মুশরিকরা হিদায়াত গ্রহণ করতে উৎসাহী নয় এবং হিদায়াতের প্রয়োজনও মনে করে না, তাই আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে হিদায়াত দেন না। আর মু’মিনদেরকে হিদায়াত দান করেন এর অর্থ তাদেরকে হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখেন।
(مَنْ كَفَرَ بِاللّٰهِ....)
আয়াতের শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রা:) বলেন, এ আয়াতটি আম্মার ইবনু ইয়াসিরের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। ঘটনা হল মুশরিকরা তাকে কঠিন শাস্তি দিতে থাকে যে পর্যন্ত না রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অস্বীকার করেন। তখন তিনি অত্যন্ত নিরূপায় ও বাধ্য হয়ে তাদেরকে সমর্থন করেন। অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গমন করে ওযর পেশ করেন। ঐ সময় আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। (ইবনে কাসীর ১/৬১১, মুসতাদরাক হাকেম ২/৩৫৭, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুপাতে সহীহ)
আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেন, যদি কেউ ঈমান আনার পর মুরতাদ হয়ে যায় তাহলে তাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। দুনিয়াতে মুরতাদের শাস্তি হিসেবে হত্যা করা হবে। আর আখিরাতে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে। কারণ হল তারা আখিরাতের ওপর দুনিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী করেছে। ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের অন্তরে, শ্রবণশক্তিতে এবং দর্শনশক্তিতে মোহর মেরে দিয়েছেন যার কারণে তারা ঈমান থেকে গাফেল হয়ে গেছে।
তবে যদি কেউ জীবন নাশের আশঙ্কা থেকে বাঁচার জন্য শুধু মুখে কুফরী বাক্য উচ্চারণ করে কিন্তু তার অন্তর ঈমানে পরিপূর্ণ তাহলে সে মুরতাদ বলে গণ্য হবে না এবং তার ওপর মুরতাদের বিধান কার্যকর হবে না।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার উম্মতের তিনটি বিষয় থেকে কলম তুলে নেয়া হয়েছে
১. ভুল করে কোন কাজ করলে,
২. কোন কাজ করতে ভুলে গেলে
৩. কোন কিছু করতে বা না করতে বাধ্য করা হলে।
(ইরওয়ারুল গালীল হা: ২৫৬৬, সহীহুল জামে হা: ৩৫১৫)
এ সুবিধা অনেকে অনাকাক্সিক্ষত স্থানে ব্যবহার করে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। এটা মোটেও ঠিক নয়। বরং ঈমান নিয়ে মারা গেলে সেটাই উত্তম, যেমন কেউ দুনিয়ার স্বার্থে ঈমান ছেড়ে দিয়ে বলে কুফরী করতে বাধ্য হয়েছি। এ সম্পর্কে সূরা বাকারায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ঈমান আনার পর কুফরী করা যাবে না। ২. কেউ জীবন বাঁচানোর জন্য কুফরী কথা বললে মুরতাদ হবে না, তবে অন্তরে ঈমান দৃঢ়ভাবে থাকতে হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings