Surah An Nahl Tafseer
Tafseer of An-Nahl : 102
Saheeh International
Say, [O Muhammad], "The Pure Spirit has brought it down from your Lord in truth to make firm those who believe and as guidance and good tidings to the Muslims."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০১-১০২ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, কোন আয়াত অবতীর্ণ করে অতঃপর তা পরিবর্তন করা অর্থাৎ রহিত করে বা ভুলিয়ে দিয়ে অন্য কোন উত্তম বা তদ্রƒপ আয়াত নিয়ে আসার কাজ তিনিই করে থাকেন। তিনি যখন খুশি তা অবতীর্ণ করেন আবার ইচ্ছা হলে তা পরিবর্তন করে একটি নতুন বিধান ঐ স্থানে নিয়ে আসেন। আর এই কারণে কাফির-মুশরিকরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিথ্যাবাদী মনে করত। তারা বলত: এটা যদি আল্লাহ তা‘আলার বিধান হয় তাহলে এটা পরিবর্তন করা হয় কেন? আল্লাহ তা‘আলার বিধান তো স্থির থাকবে। এটা তাদের জ্ঞানের স্বল্পতার পরিচয়। আল্লাহ তা‘আলা কি অবতীর্ণ করবেন এবং কী জন্য পরিবর্তন করবেন তা তিনিই ভাল জানেন। আর এ পরিবর্তন তিনিই করেন এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিজের পক্ষ থেকে করেন না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا نَنْسَخْ مِنْ اٰيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَآ أَوْ مِثْلِهَا ط أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللّٰهَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ)
“আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিংবা আয়াতটিকে বিস্মৃত করিয়ে দিলে তার চেয়ে উত্তম বা তদনুরূপ আনয়ন করি; তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ের ওপরই ক্ষমতাবান?” (সূরা বাক্বারাহ ২:১০৬)
তবে কোন বিধানকে রহিত করে অন্য বিধান নিয়ে আসার পেছনে কী হিকমত রয়েছে তা সূরা বাকারার ১০৬ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এ কুরআন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে জিবরীল (عليه السلام)-এর মাধ্যমে অবতীর্ণ হয়েছে। আর এটা সত্য কিতাব।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيْلَ فَإِنَّه۫ نَزَّلَه۫ عَلٰي قَلْبِكَ بِإِذْنِ اللّٰهِ)
“তুমি বল যে ব্যক্তি জিবরীলের সাথে শত্র“তা রাখে (সে হিংসায় মরে যাক) সে তো আল্লাহর হুকুমে এ কুরআনকে তোমার অন্তঃকরণ পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন।” (সূরা বাকারাহ ২:৯৭)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَاِنَّھ۫ لَتَنْزِیْلُ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَﰏﺚنَزَلَ بِھِ الرُّوْحُ الْاَمِیْنُﰐﺫعَلٰی قَلْبِکَ لِتَکُوْنَ مِنَ الْمُنْذِرِیْنَﰑﺫبِلِسَانٍ عَرَبِیٍّ مُّبِیْنٍﰒﺚ)
“নিশ্চয়ই এ কুরআন জগতসমূহের প্রতিপালক হতে অবতীর্ণ। জিব্রীল এটা নিয়ে অবতরণ করেছে তোমার হৃদয়ে, যাতে তুমি সতর্ককারী হতে পার। (অবতীর্ণ করা হয়েছে) সুস্পষ্ট আরবি ভাষায়।” (সূরা শু‘আরা ২৬:১৯২-১৯৫)
এ কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে ঈমানের ওপর অটল রাখেন এবং সুসংবাদ প্রদান করেন। যখন মু’মিনরা কোন বিপদে পড়ে তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে আখিরাতের উত্তম প্রতিদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন ফলে তারা ঈমানের পথে ধৈর্য ধারণ করে। অতএব এতে কোন প্রকার মিথ্যা কোন কিছু নেই। এটা বাস্তবই আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা নির্বোধ যার কারণে এমনটি মনে করে থাকে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইচ্ছানুসারে কুরআনের কোন বিধান পরিবর্তন করে নতুন বিধান অবতীর্ণ করতেন, এটা সত্য।
২. কুরআন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ কিতাব।
৩. কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে জিবরীল (عليه السلام)-এর মাধ্যমে।
৪. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীনের মধ্যে নিজের কোন মতামত প্রবেশ করাননি।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings