Surah Al Hijr Tafseer
Tafseer of Al-Hijr : 23
Saheeh International
And indeed, it is We who give life and cause death, and We are the Inheritor.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২১-২৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা সংবাদ দিচ্ছেন, সব কিছুর মালিক একমাত্র তিনি। প্রত্যেক বস্তুর ভাণ্ডার তাঁর হাতে। সেখান থেকে যখন যতটা ইচ্ছা তিনি অবতীর্ণ করেন। তাঁর হিকমত ও নিপুণতা তিনিই জানেন। বান্দার কল্যাণ সম্পর্কে তিনিই সম্যক অবগত। কেউ خزائن দ্বারা বৃষ্টি অর্থ নিয়েছেন। কারণ বৃষ্টিই শস্য উৎপাদনের মূল উপাদান। কিন্তু এখানে সঠিক অর্থে পৃথিবীর সকল ভাণ্ডারকে বুঝানো হয়েছে। সে সকল আল্লাহ তা‘আলা নিজ ইচ্ছায় দিয়ে থাকেন। আল্লাহ তা‘আলার এ ভাণ্ডার থেকে তিনি নির্ধারিত পরিমাণ মানুষকে দিয়ে থাকেন। এর অন্যতম একটি হিকমত হল
(وَلَوْ بَسَطَ اللّٰهُ الرِّزْقَ لِعِبَادِه۪ لَبَغَوْا فِي الْأَرْضِ وَلٰكِنْ يُّنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا يَشَا۬ءُ ط إِنَّه۫ بِعِبَادِه۪ خَبِيْرٌۭ بَصِيْرٌ)
“আল্লাহ তাঁর (সকল) বান্দাদের রুযী বাড়িয়ে দিলে তারা পৃথিবীতে অবশ্যই সীমালঙ্ঘন করত; কিন্তু তিনি তাঁর ইচ্ছামত পরিমাণেই দিয়ে থাকেন। তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক জানেন ও দেখেন।” (সূরা শুরা ৪২:২৭)
لَوَاقِحَ বৃষ্টিসঞ্চারি বায়ু বা ভাপরী বায়ু, যেহেতু বায়ু বৃষ্টিভর্তি মেঘমালাকে বহন করে তাই তাকে لَوَاقِحَ বলা হয়। যেমন لقحة এমন উটনীকে বলা হয় যে পেটে বাচ্চা বহন করে নিয়ে চলে। এ বৃষ্টি যা আল্লাহ তা‘আলা বর্ষণ করেন তা তিনি নিজের কাছে জমা করে রাখতে সক্ষম, তাঁর দয়া যে তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করে বিভিন্ন ঝর্ণা, কূপ ও নদী-নালার মাধ্যমে সংরক্ষণ করে রাখেন। তিনি ইচ্ছা করলে পানি ভূগর্ভে নিয়ে যেতে পারতেন ফলে মানুষ নিচ থেকেও পানি সংগ্রহ করতে পারত না। তিনি ইচ্ছা করলে পানি লবণাক্ত করে দিতে পারতেন কিন্তু এসব তাঁর দয়া।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَفَرَءَیْتُمُ الْمَا۬ئَ الَّذِیْ تَشْرَبُوْنَﮓﺚ ءَاَنْتُمْ اَنْزَلْتُمُوْھُ مِنَ الْمُزْنِ اَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُوْنَﮔ لَوْ نَشَا۬ئُ جَعَلْنٰھُ اُجَاجًا فَلَوْلَا تَشْکُرُوْنَﮕ )
“তোমরা যে পানি পান কর সে বিষয়ে তোমরা চিন্তা করছ কি? তোমরাই কি তা মেঘ হতে বর্ষণ কর, না আমি বর্ষণ করি। আমি ইচ্ছা করলে তাকে লবণাক্ত বানাতে পারি। তবুও তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না কেন?” (সূরা ওয়াকিয়াহ ৫৬:৬৮-৭০)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(هُوَ الَّذِيْٓ أَنْزَلَ مِنَ السَّمَا۬ءِ مَا۬ءً لَّكُمْ مِّنْهُ شَرَابٌ وَّمِنْهُ شَجَرٌ فِيْهِ تُسِيْمُوْنَ)
“তিনিই আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন। তাতে তোমাদের জন্য রয়েছে পানীয় এবং তা হতে জন্মায় উদ্ভিদ যাতে তোমরা পশু চারণ করে থাকো।” (সূরা নাহল ১৬:১০)
(وَمَآ اَنْتُمْ لَھ۫ بِخٰزِنِیْنَ)
-এ সমস্ত ভাণ্ডার মানুষের কাছে নেই, তা কেবলমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নিকট। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ خَزَآئِنُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْض)
“আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর ধন-ভাণ্ডার তো আল্লাহরই।” (সূরা মুনাফিকূন ৬৩:৭)
(وَاِنَّا لَنَحْنُ نُحْی۪ وَنُمِیْتُ)
এখানে আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করেছেন যে, তিনিই মানুষকে জীবন দান করেন এবং তিনিই মানুষকে মৃত্যু দান করেন। তিনি ছাড়া কেউ জীবন-মৃত্যুর মালিক নয়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّا نَحْنُ نُحْيِيْ وَنُمِيْتُ وَإِلَيْنَا الْمَصِيْرُ)
“আমিই জীবিত করি, আর মৃত্যুও ঘটাই এবং সকলেই ফিরে আসবে আমারই দিকে।” (সূরা ক্বাফ ৫০:৪৩)
জীবন ও মৃত্যুর মালিক কেবল আল্লাহ, অন্য কেউ নয়। আর তিনিই চূড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(إِنَّا نَحْنُ نَرِثُ الْأَرْضَ وَمَنْ عَلَيْهَا وَإِلَيْنَا يُرْجَعُوْنَ)
“নিশ্চয়ই পৃথিবীর ও তার ওপরে যারা আছে তাদের চূড়ান্ত মালিকানা আমারই রইবে এবং তারা আমারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে” (সূরা মারইয়াম ১৯:৪০)
এখানে উত্তরাধিকারী কথার অর্থ হচ্ছে যখন সমস্ত মাখলুক শেষ হয়ে যাবে তখন একমাত্র তিনিই এই আকাশে ও জমিনে অবশিষ্ট থাকবেন এবং তিনিই সকলকে তাদের মৃত্যুর পর একত্রিত করবেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পৃথিবীতে যত কিছু অবতীর্ণ করা হয় সব কিছুর ধনভাণ্ডার আল্লাহ তা‘আলার নিকট। মানুষ কোন কিছুরই প্রকৃত মালিক নয়।
২. আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করা মানুষের প্রতি আল্লাহ তা‘আলার একটি অনুগ্রহ।
৩. জীবন ও মরণ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার হাতে।
৪. মৃত্যুর পর সকল মানুষকে বিচারের জন্য একত্রিত করা হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings