Surah Ibrahim Tafseer
Tafseer of Ibrahim : 45
Saheeh International
And you lived among the dwellings of those who wronged themselves, and it had become clear to you how We dealt with them. And We presented for you [many] examples."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৪-৪৬ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মানব জাতিকে সেদিন সম্পর্কে সতর্ক করার নির্দেশ দিচ্ছেন যেদিন আযাব অবলোকন করার পর অপরাধীরা আল্লাহ তা‘আলার দরবারে ফরিয়াদ করে বলবে: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কিছু কালের জন্য অবকাশ দাও, আমরা তোমার আহ্বানে সাড়া দেব এবং রাসূলগণের অনুসরণ করব।’ সে দিনটি হল কিয়ামতের দিন। কিন্তু সেদিন তাদেরকে কোনই অবকাশ দেয়া হবেনা।
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন
(فَيَقُوْلَ رَبِّ لَوْلَآ أَخَّرْتَنِيْ إِلٰٓي أَجَلٍ قَرِيْبٍ لا فَأَصَّدَّقَ وَأَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِيْنَ)
“(অন্যথায় মৃত্যু আসলে সে বলবে,) হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আরো কিছু কালের জন্য কেন অবকাশ দাও না? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।” (সূরা মুনাফিক্বুন ৬৩:১০)
তখন তাদেরকে কোন প্রকার অবকাশ না দিয়ে তাদের পূর্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে যে, তোমাদের কাছে সতর্ককারী হিসেবে রাসূল প্রেরণ করেছিলাম, তোমরা তার কথা শুননি। রাসূলদের কথাকে কাল্পনিক কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছ আর বলেছ আমাদের কোন পতন হবে না, হিসাব-নিকাশ বা পুনরুত্থান বলতে কিছু নেই। সুতরাং আজকের দিনে আর কোন অবকাশ দেয়া হবে না, বরং তাদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
(وَضَرَبْنَا لَكُمُ الْأَمْثَالَ)
অর্থাৎ উপদেশ গ্রহণ করার জন্য আমি তো পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের ঘটনা বর্ণনা করে দিয়েছি, যাদের বাড়ি-ঘরে এখন তোমরা বসবাস করছ এবং তাদের জীর্ণ বাড়ি-ঘরও তোমাদেরকে চিন্তা-ভাবনা করতে উদ্ধুদ্ধ করছে। যদি তোমরা এ থেকে উপদেশ গ্রহণ না কর এবং তাদের পরিণতি থেকে বাঁচার জন্য চিন্তা-ভাবনা না কর, তাহলে তোমরাও অনুরূপ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকো।
(وَعِنْدَ اللّٰهِ مَكْرُهُمْ)
এটা অবস্থার বর্ণনামূলক বাক্য। অর্থাৎ আমি তাদের সাথে যা করার তা করলাম, অথচ অবস্থা এই যে, তারা বাতিলকে সাব্যস্ত এবং সত্যকে খণ্ডন করার জন্য সর্বশক্তি ব্যয়পূর্বক কৌশল ও চক্রান্ত করল। আর আল্লাহ তা‘আলার কাছে এসব চক্রান্তের জ্ঞান আছে যার শাস্তি তিনি তাদেরকেই দেবেন।
(لِتَزُوْلَ مِنْهُ الْجِبَالُ)
কেননা যদি পাহাড় টলে যেত তাহলে স্বস্থানে থাকতো না, অথচ সমস্ত পাহাড় স্ব-স্ব স্থানে অটল রয়েছে। إِنْ নেতিবাচক ما এর অর্থ। দ্বিতীয় অর্থ إِنْ মূলত انّ ছিল। অর্থাৎ নিশ্চয়ই তাদের চক্রান্ত এত বড় ছিল যে, তার ফলে পাহাড়ও স্বস্থান থেকে সরে যেত। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাদের চক্রান্তকে সফল হতে দেননি।
সুতরাং আখিরাতের শাস্তি দেখে দুনিয়াতে আসার আবেদন করে লাভ হবে না, দুনিয়াতে থাকতেই আখিরাতের পাথেয় সংগ্রহ করে নিতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মৃত্যুর পর কোন আবেদন ও ওজর গ্রহণযোগ্য হবে না।
২. সঠিক নিয়মের অনুসরণ করতে হবে, কোন পূর্ব-পুরুষের অনুসরণে বাতিল নিয়মনীতির অনুসরণ করা যাবে না।
৩. আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী ঘটনাবলী বর্ণনা করেছেন তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করার জন্য।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings