Surah Ibrahim Tafseer
Tafseer of Ibrahim : 30
Saheeh International
And they have attributed to Allah equals to mislead [people] from His way. Say, "Enjoy yourselves, for indeed, your destination is the Fire."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৮-৩০ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলেন: ঐ সকল কাফিরদেরকে কি তুমি দেখনি? এখানে যদিও মক্কার কাফিরদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তবুও এর দ্বারা সকল যুগের সকল কাফির উদ্দেশ্য। মক্কার কাফিররা نِعْمَتَ اللّٰهِ আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামত তথা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রিসালাতকে অস্বীকার করেছে, তাঁকে নাবী হিসেবে মেনে নেয়নি। এ অস্বীকারের মাধ্যমে যেমন আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতের অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে অনুরূপ তারা নিজ জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অর্থাৎ নিজেরা কুফরীর ওপর বহাল থেকেও নিজ জাতিকেও কুফরীর ওপর বহাল রেখে আখিরাতে জাহান্নামে নিয়ে গেছে এবং দুনিয়াতেও ধ্বংস করেছে। যেমন বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিহত হয়েছে।
أَحَلُّوْا অর্থ আবশ্যক করে নেয়া, বৈধ করে নেয়া। অর্থাৎ কুফরী করে জাতির জন্য ধ্বংস আবশ্যক করে দিয়েছে।
এর দ্বারা মূলত বদরের যুদ্ধের দিনের কাফিরদের পরাজয়কে বুঝানো হয়েছে এবং ধ্বংস বলতে জাহান্নামকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে এবং তারা যন্ত্রণা/শাস্তি ভোগ করবে। (তাফসীর মুয়াসসার, অত্র আয়াতের তাফসীর)
أَنْدَادًا শব্দটি ند এর বহুবচন, অর্থ অংশী, শরীক। অর্থাৎ তারা আল্লাহ তা‘আলার সাথে অংশীস্থাপন করে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য। যেমন আমাদের সমাজে একশ্রেণির মানুষ রয়েছে যারা বলে বান্দা পাপ কাজ করতে করতে এমন হয়ে যায় যে, আল্লাহ তা‘আলার কাছে সরাসরি চাইলে আল্লাহ তা‘আলা দেবেন না। তাই পীর বা গাউস-কুতুবের মাধ্যম দিয়ে চাইতে হবে।
মক্কার মুশরিকরাও এরূপ বিশ্বাস করত তারা বলত, এসব দেবতা আমাদের দু‘আ আল্লাহ তা‘আলার কাছে পৌঁছে দিবে, এরা আমাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে সুপারিশ করবে। এটা একটি বড় শির্ক যা বান্দাদেরকে তাওহীদের পথ থেকে দূরে রাখে। যে ব্যক্তি বিশ্বাস করবে আল্লাহ তা‘আলার কাছে সরাসরি কিছু পাওয়া যায় না কোন মাধ্যম ছাড়া, সে মু’মিন থাকবে না, এটা ঈমান বিনষ্টের অন্যতম একটি কারণ।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতের প্রতি কুফরী করা যাবে না।
২. দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী, তা একদিন শেষ হয়ে যাবে।
৩. জাহান্নাম একটি নিকৃষ্ট আবাস স্থল।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings