Surah Ibrahim Tafseer
Tafseer of Ibrahim : 10
Saheeh International
Their messengers said, "Can there be doubt about Allah, Creator of the heavens and earth? He invites you that He may forgive you of your sins, and He delays your death for a specified term." They said, "You are not but men like us who wish to avert us from what our fathers were worshipping. So bring us a clear authority."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৯-১২ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যে যারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের সাথে কুফরী করার কারণে ধ্বংস হয়েছে তাদের কয়েকটি জাতির কথা জানিয়ে মক্কাবাসীকে সম্বোধন করে সারা পৃথিবীবাসীর উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: তোমাদের পূর্ববর্তী নূহ (عليه السلام) এর জাতি, ‘আদ জাতি, সামূদ জাতি ও তাদের পরে দুনিয়াতে কত জাতি এসেছিল যাদের সংখ্যা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কেউ জানে না, এসব কথা কি তোমাদের কাছে পৌঁছেনি? তাদের কাছে রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে আগমন করেছিল, যখন তাদের কাছে রাসূলগণ দীনের দাওয়াত নিয়ে যেতেন তখন তারা হাত দ্বারা মুখ ঢেকে নিত, মুখ ফিরিয়ে নিত, রাসূলদেরকে মানুষ বলে প্রত্যাখ্যান করত এবং সন্দেহের কথা বলে উড়িয়ে দিত। সেসব জাতির মর্মান্তিক পরিণাম সূরা আ‘রাফে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তোমরাও যদি এরূপ কর তাহলে তোমাদের পরিণাম তাদের মতই হবে।
(فَرَدُّوْآ أَيْدِيَهُمْ فِيْٓ أَفْوَاهِهِمْ)
বিদ্বানগণ এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণনা করেছেন:
(১) তারা নিজ হাত মুখে রেখে বলত: আমাদের তো শুধু একটিই উত্তর যে, আমরা তোমাদের রিসালাতকে অস্বীকার করি।
(২) তারা নিজ আঙ্গুল দ্বারা নিজ মুখের দিকে ইঙ্গিত করে বলত চুপ থাকো এবং এ লোক যা বলে তা মেনে নিয়ো না।
(৩) তারা নিজ নিজ মুখে বিদ্রুপ করত। এ ছাড়াও অনেক অর্থ ব্যক্ত করা হয়। মোট কথা হল তারা ঈমান আনত না, বরং অহংকার করত। যেমন সূরা নূহে নূহ (عليه السلام)-এর জাতির বিবরণ দেয়া হয়েছে।
রাসূলগণ তাদের অবাধ্যতা দেখে বলতেন: আল্লাহ তা‘আলা সমন্ধে তোমাদের সংশয় রয়েছে? যদি সন্দেহ থাকে তাহলে দেখে নাও তিনি আকাশ-জমিন সৃষ্টি করেছেন। তাঁর এসব সৃষ্টি দেখার পর কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। সে আল্লাহ তা‘আলাই তোমাদেরকে তোমাদের গুনাহ থেকে পবিত্র করার জন্য এবং নির্ধারিত আয়ু পর্যন্ত অবকাশ দেয়ার জন্য ঈমান ও তাওহীদের প্রতি আহ্বান করছেন। সুতরাং তোমরা কি তাঁর দাওয়াতকে অস্বীকার করবে? এসব কথা শুনে উম্মাতেরা বলত, তুমি আমাদের মত একজন মানুষ, তুমি কিভাবে আমাদেরকে হিদায়াত দিবে? মানুষ কোন দিন আল্লাহ তা‘আলার ওয়াহী ও নবুওয়াত নিয়ে আসতে পারে না, তুমি আমাদেরকে আমাদের বাপ-দাদার ধর্ম থেকে বিচ্যুত করতে চাও।
তাদের কথায় রাসূলগণ প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিলেন যে, অবশ্যই আমরা তোমাদের মত মানুষ, সুতরাং মানুষ রাসূল হতে পারে না, তোমাদের এই ধারণা ভুল। আল্লাহ তা‘আলা মানবকুলের হিদায়াতের জন্য তাদের মধ্য থেকেই কতিপয় মানুষকে নির্বাচন করে নেন এবং এ অনুগ্রহ তোমাদের মধ্য হতে আমাদের প্রতি করেছেন।
(إِلَّا بِإِذْنِ اللّٰهِ)
অর্থাৎ তোমরা কোন মু‘জিযাহ দাবি করলেই দেখাতে পারব না, কারণ মু’জিযাহ প্রদর্শন করা আমাদের এখতিয়ারে নয় বরং তা আল্লাহ তা‘আলার হাতে, তাঁর অনুমতি ছাড়া আমরা কোন মু‘জিযাহ দেখাতে পারি না, পারবোও না।
(فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُوْنَ)
এখানে “বিশ্বাসীদের” বলে উদ্দেশ্য প্রথমত নাবীগণ। অর্থাৎ আমাদের উচিত আল্লাহ তা‘আলার উপরেই ভরসা করা, যেমন পরবর্তী আয়াতে বলেছেন: আমরা আল্লাহ তা‘আলার ওপর নির্ভর করব না কেন?
আয়াতের শিক্ষা:
১. পূর্ববর্তী অবাধ্য জাতির কাহিনী তুলে ধরার কারণ হল তাদের থেকে শিক্ষা নেয়া।
২. রাসূলগণ মাটির তৈরি তাদের মত মানুষ তাই পূর্ববর্তীরা নাবীদেরকে মেনে নেয়নি।
৩. ভরসা করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ওপর, অন্য কারো ওপর নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings