Surah Ar Rad Tafseer
Tafseer of Ar-Ra'd : 7
Saheeh International
And those who disbelieved say, "Why has a sign not been sent down to him from his Lord?" You are only a warner, and for every people is a guide.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬-৭ নং আয়াতের তাফসীর:
এখানে আল্লাহ তা‘আলা ঐ সমস্ত কাফিরদের কথা বর্ণনা করছেন যারা আল্লাহ তা‘আলা, নবী-রাসূল ও কিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না। তাদের বিশ্বাস আমরা বেঁচে আছি মরে যাব, কোন কিছু হবে না। যেমন সূরা মুমিনূনের ৩৭ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু তাদের কিয়ামত দিবসের প্রতি বিশ্বাস নেই তাই তারা দ্রুত আযাব কামনা করে বলে, হে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তুমি যদি তোমার কথায় সত্যবাদী হও তাহলে শাস্তি আনয়ন করছ না কেন? بِالسَّيِّئَةِ দ্বারা উদ্দেশ্য হল শাস্তি।
তারা এ শাস্তির ব্যাপারে তাড়াহুড়া করছে অথচ ইতিপূর্বে অনেক জাতির ওপর এরূপ শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তাদের এ তাড়াহুড়া করার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَيَسْتَعْجِلُوْنَكَ بِالْعَذَابِ ط وَلَوْلَآ أَجَلٌ مُّسَمًّي لَّجَا۬ءَهُمُ الْعَذَابُ ط وَلَيَأْتِيَنَّهُمْ بَغْتَةً وَّهُمْ لَا يَشْعُرُوْنَ)
“তারা তোমাকে শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলে। যদি নির্ধারিত কাল না থাকত তবে শাস্তি তাদের উপর অবশ্যই আসত। নিশ্চয়ই তাদের উপর শাস্তি আসবে আকস্মিকভাবে, তারা টেরও পাবে না।” (সূরা আনকাবুত ২৯:৫৩)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(يَسْتَعْجِلُ بِهَا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِهَا ج وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مُشْفِقُوْنَ مِنْهَا لا وَيَعْلَمُوْنَ أَنَّهَا الْحَقُّ)
“যারা এর প্রতি বিশ্বাস করে না তারাই এটার (কিয়ামত) জন্য তড়িঘড়ি করে। আর যারা বিশ্বাসী তারা একে ভয় করে এবং জানে যে, এটা সত্য।” (সূরা শুরা ৪২:১৮)
মানুষ অন্যায়-অত্যাচার ও আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতামূলক কাজ করা সত্ত্বেও শাস্তির ব্যাপারে তাড়াহুড়া করে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার প্রতি অতিশয় দয়ালু তাই তিনি তাদের পাপ করার সাথে সাথেই শাস্তি দেন না বরং তিনি তাদেরকে কিছুকাল সময় দেন যাতে তারা ভাল হওয়ার সুযোগ পায়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَإِنْ كَذَّبُوْكَ فَقُلْ رَّبُّكُمْ ذُوْ رَحْمَةٍ وَّاسِعَةٍ ج وَلَا يُرَدُّ بَأْسُه۫ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ)
“অতঃপর যদি তারা তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে বল: ‘তোমাদের প্রতিপালক সর্বব্যাপী দয়ার মালিক এবং অপরাধী সম্প্রদায়ের উপর হতে তাঁর শাস্তি রদ করা হবে না।’’ (সূরা আনয়াম ৬:১৪৭)
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা বান্দাকে তৎক্ষণাৎ শাস্তি দেন না বলে এমনটি মনে করা যাবে না যে, তিনি শাস্তি দিতে অক্ষম।
পরবর্তী আয়াতেও আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পর্কে বলছেন যে, তারা বলে, সে যদি সত্যবাদিই হবে তাহলে তাঁর উপর তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন আসে না কেন? এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সূরা ইউনুসের ২০নং আয়াতে করা হয়েছে।
(وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ)
‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আছে পথ প্রদর্শক’ এখানে পথ-প্রদর্শক বলতে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নাবী-রাসূলদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে হেদায়েতের মালিক মনে করা যাবে না। হিদায়েতের মালিক কেবলমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(إِنَّكَ لَا تَهْدِيْ مَنْ أَحْبَبْتَ وَلٰكِنَّ اللّٰهَ يَهْدِيْ مَنْ يَّشَا۬ء)
“তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন।” (সূরা কাসাস ২৮:৫৬)
সুতরাং রাসূলগণ পথ-প্রদর্শক বটে কিন্তু হিদায়েতের মালিক নন। হিদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
(১) আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কেউ হিদায়েতের মালিক নন।
(২) মানুষদেরকে ভাল-মন্দ পথ দেখিয়ে দেয়ার জন্য যুগে যুগে নাবী-রাসূল প্রেরণ করা হয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings