Surah Ar Rad Tafseer
Tafseer of Ar-Ra'd : 43
Saheeh International
And those who have disbelieved say, "You are not a messenger." Say, [O Muhammad], "Sufficient is Allah as Witness between me and you, and [the witness of] whoever has knowledge of the Scripture."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪২-৪৩ নং আয়াতের তাফসীর:
নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিয়ে মক্কাবাসীরা চক্রান্ত করার পূর্বেও অন্যান্য জাতির নিকট যে সকল নাবী-রাসূলগণ এসেছিলেন তাদেরকে নিয়ে সেসব জাতির লোকেরা চক্রান্ত করেছিল। তারা আগত নাবী-রাসূলদেরকে হত্যা করতে চেয়েছিল, দেশ থেকে বের করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের কোন চক্রান্তই আল্লাহ তা‘আলার কৌশলের সম্মুখে টিকতে পারেনি। সুতরাং মক্কার মুশরিকরা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বের করে দেয়ার জন্য যতই চক্রান্ত করুক না কেন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاِذْ یَمْکُرُ بِکَ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا لِیُثْبِتُوْکَ اَوْ یَقْتُلُوْکَ اَوْ یُخْرِجُوْکَﺚ وَیَمْکُرُوْنَ وَیَمْکُرُ اللہُﺚ وَاللہُ خَیْرُ الْمٰکِرِیْنَ)
“স্মরণ কর! যখন কাফিরগণ তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তোমাকে বন্দী করার বা হত্যা করার অথবা নির্বাসিত করার জন্য। আর তারা ষড়যন্ত্র করে এবং আল্লাহও কৌশল করেন; আর আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলী।” (সূরা আনফাল ৮:৩০)
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের অবস্থান ও কর্ম সম্পর্কে অবগত। কে ভাল কাজ করছে, কে খারাপ কাজ করছে সব তিনি জানেন, কোন কিছু তারঁ কাছে অস্পষ্ট নয়। এর উপর ভিত্তি করে তিনি প্রত্যেককে তাদের প্রতিদান দিবেন। তখন কাফিররা জানতে পারবে উত্তম পরিণাম কাদের। সুতরাং কুফরী, চক্রান্ত ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করে কোনই লাভ নেই।
আর কাফিররা এ কথাও বলে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত নন। অথচ আল্লাহ তা‘আলা নিজেই বলেছেন:
(إِنَّآ أَرْسَلْنٰكَ بِالْحَقِّ بَشِيْرًا وَّنَذِيْرًا ط وَإِنْ مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خَلَا فِيْهَا نَذِيْرٌ)
“আমিই তোমাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। আর এমন কোন উম্মত নেই, যাদের মধ্যে কোন সতর্ককারী আসেনি।” (সূরা ফাতির ৩৫:২৪)
(قُلْ کَفٰی بِاللہِ شَھِیْدًۭا) অর্থাৎ যে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট এবং যাদের কাছে পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের জ্ঞান আছে তারাও। কারণ তারা জানে আমি সত্য রাসূল। পূর্ববর্তী কিতাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যতা বিদ্যমান।
যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(اَلَّذِیْنَ یَتَّبِعُوْنَ الرَّسُوْلَ النَّبِیَّ الْاُمِّیَّ الَّذِیْ یَجِدُوْنَھ۫ مَکْتُوْبًا عِنْدَھُمْ فِی التَّوْرٰٿةِ وَالْاِنْجِیْلِ)
“যারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নাবীর, যাকে তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত অবস্থায় পেয়েছে।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৭) সুতরাং কতক মানুষ রাসূলকে অস্বীকার করাতে কিছু আসে যায় না। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন সত্য বিষয়ে ফায়সালা করবেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. প্রত্যেক যুগেই নাবী-রাসূলগণকে নিয়ে চক্রান্ত করা হয়েছিল।
২. আল্লাহ তা‘আলা নাবী-রাসূলগণকে চক্রান্তাকারীদের চক্রান্ত থেকে হেফাযত করেছেন।
৩. আখিরাতে মু’মিনদের জন্যই রয়েছে উত্তম পরিণতি।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings