Surah Ar Rad Tafseer
Tafseer of Ar-Ra'd : 38
Saheeh International
And We have already sent messengers before you and assigned to them wives and descendants. And it was not for a messenger to come with a sign except by permission of Allah . For every term is a decree.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩৮-৩৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলেন: আমি তোমার পূর্বে আরো রাসূল প্রেরণ করেছি তাদের স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও বংশধর ছিল। সুতরাং তুমিও একজন মানুষ, তোমার স্ত্রী-সন্তান থাকবে এতে দোষের কিছু নেই।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(قُلْ إِنَّمَآ أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوْحٰٓي إِلَيَّ)
“বল: ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।” (সূরা কাহফ ১৮:১১০)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি রোযা রাখি, রোযা ছাড়ি, রাতে কিয়াম করি আবার ঘুমাই, আমি বিবাহ করেছি। সুতরাং যে আমার সুন্নাত বর্জন করবে সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ বুখারী হা: ৫০৬৩)
এ আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে, সকল নাবী-রাসূল আদম সন্তান মাটির তৈরি। কেননা নূরের তৈরি ফেরেশতাদের বিবাহ, স্ত্রী-সন্তান ও পেশাব-পায়খানার প্রয়োজন হয় না। এর দ্বারা আরো প্রমাণ হয় যে, ইসলাম সন্নাসী জীবন-যাপন সমর্থন করে না। সামাজিক জীবন যাপন করেই আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি হাসিল করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতে যাওয়ার উপরকরণ গ্রহণ করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে মুসলিম মানুষের সাথে উঠা-বসা ও চলাফেরা এবং তাদের কষ্টে ধৈর্য ধারণ করে সে মুসলিম ব্যক্তি তার চেয়ে উত্তম যে মুসলিম মানুষের সাথে উঠা-বসা ও চলাফেরা এবং তাদের কষ্টে ধৈর্য ধারণ করে না। (তিরমিযী হা: ২৫০৭, সহীহ)
এ সম্পর্কে অত্র সূরার ২৬ নং আয়াতের শেষের দিকে আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও যে কথাটি বলা হয়েছে তা হল, রাসূলদের ذرية বা সন্তান-সন্ততি ছিল। আর ذرية শব্দটি অর্থগত দিক দিয়ে বহুবচন যাতে কমপক্ষে তিন সংখ্যাকে বুঝায়। এর দ্বারা পরিবার-পরিকল্পনাকে খণ্ডন করা হয়েছে। আর এ পরিবার-পরিকল্পনা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহীহ হাদীসের পরিপন্থী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: তোমরা অধিক প্রেমময়ী ও অধিক সন্তান প্রসবকারী মহিলাদেরকে বিবাহ কর। আমি কিয়াতের দিন অধিক উম্মত নিয়ে গর্ব করব। (সুনান আবী দাউদ হা: ২০৫০, সহীহ)
(وَمَا كَانَ لِرَسُولٍ.... )
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাসূলকেই কম-বেশি মু‘জিযাহ দিয়েছিলেন। কিন্তু এটা রাসূলদের অধিকার বা ইচ্ছাধীন ছিল না। বরং এটা আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছাধীন। তিনি যখন যে রাসূলকে যে মু‘জিযাহ দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন বা প্রয়োজন মনে করেছেন তখন তাকে সে মু‘জিযাহ প্রদান করেছেন। কোন রাসূল তাঁর ইচ্ছামত মু‘জিযাহ নিয়ে আসেননি এবং প্রদর্শন করতে পারেননি। আর প্রত্যেকটি জিনিসের একটি নির্ধারিত সময়-সীমা আল্লাহ তা‘আলা নির্ধারণ করে রেখেছেন। সে সময়ের পূর্বে কিছুই হবে না।
(يَمْحُو اللَّهُ مَا.... )
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ইচ্ছা অনুপাতে শরীয়ত প্রয়োগ করেন। তিনি কোন বিধান দেয়ার পর তা কখনো শরীয়ত হিসেবে রেখে দেন আবার কখনো সেটাকে পরিবর্তন করে দেন।
তবে যদি কোন বিধান পরিবর্তন করার ইচ্ছা করেন তবে তার চেয়ে উত্তম একটি বিধান দান করেন। যা মানুষের জন্য পূর্বের বিধান থেকে অধিক কল্যাণ বয়ে আনে। আল্লাহ তা‘আলা র বাণী:
(مَا نَنْسَخْ مِنْ اٰيَةٍ أَوْ نُنْسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَآ أَوْ مِثْلِهَا)
“আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিংবা আয়াতটিকে বিস্মৃত করে দিলে তার চেয়ে উত্তম বা তদনুরূপ আনয়ন করি;” (সূরা বাক্বারা ২:১০৬)
অতএব সকল কিছুই আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছাধীন। আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা করেন তা-ই করেন এবং তা-ই হয়। এর ব্যতিক্রম কোন কিছুই হয় না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. রাসূলগণ মাটির তৈরি, নূরের তৈরি নন।
২. নাবীরা বিবাহ করেছেন, তাদের স্ত্রী সন্তান ছিল।
৩. মু‘জিযাহ নবী-রাসূলগণের নবুওয়াতের প্রমাণ বহন করে, তবে তা আল্লাহর ইচ্ছাধীন ।
৪. শরীয়ত প্রয়োগ করার অধিকার কেবল আল্লাহ তা‘আলার, অন্য কারো নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings