Surah Yusuf Tafseer
Tafseer of Yusuf : 8
Saheeh International
When they said, "Joseph and his brother are more beloved to our father than we, while we are a clan. Indeed, our father is in clear error.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭-১০ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে ইউসুফ (عليه السلام) কে হত্যা করার ব্যাপারে তার ভাইয়েরা যে ষড়যন্ত্র করেছিল সে কথা বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘ইউসুফ এবং তার ভ্রাতাদের ঘটনায় জিজ্ঞাসুদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ তা হল এতে আল্লাহ তা‘আলার অসীম ক্ষমতা ও নবুওয়াতের সত্যতার নিদর্শন রয়েছে। এত চক্রান্ত করেও তারা ইউসুফ (عليه السلام)-কে হত্যা করতে পারল না এবং হিংসা-বিদ্বেষ করেও নবুওয়াতের মর্যাদা ছিনিয়ে আনতে পারল না।
এটা স্বভাবগত রীতি যে, বিমাতা ভাইয়েরা সাধারণতঃ পরস্পরের বিদ্বেষী হয়ে থাকে। সম্ভবতঃ এ বিদ্বেষ যাতে মাথাচাড়া না দেয়, সে কারণে ইয়া‘কূব (عليه السلام) একই শ্বশুরের পরপর তিন মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। এরপরেও শ্বশুর ছিলেন আপন মামা। পরস্পরে রক্ত সম্পর্কীয়, ঘনিষ্ঠ নিকটাত্মীয় এবং নাবী পরিবারের সার্বক্ষণিক দীনী পরিবেশে থাকা সত্ত্বেও হিংসার কবল থেকে দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানেরা রক্ষা পায়নি। তাই বলা চলে, ইউসুফের প্রতি তার সৎভাইদের হিংসার প্রথম কারণ ছিল বৈমাত্রেয় বিদ্বেষ। দ্বিতীয় কারণ ছিল সদ্য মাতৃহীন শিশু হওয়ার কারণে তাদের দু’ ভাইয়ের প্রতি পিতার স্বভাবগত স্নেহের আধিক্য। তৃতীয় কারণ ছিল ইউসুফের অতুলনীয় রূপ-লাবণ্য ও অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। চতুর্থ কারণ ছিল ইউসুফের স্বপ্নবৃত্তান্তের কথা অবগত হওয়া। মূলতঃ শেষোক্ত কারণেই তারা তাদের হিংসার আগুনে জ্বলে উঠে এবং ইউসুফকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার শয়তানী চক্রান্ত করে। ইউসুফ (عليه السلام)-এর বৈমাত্রেয় দশ ভাই পরস্পর বলল আমাদের পিতা আমাদেরকে বাদ দিয়ে ইউসুফ (عليه السلام) ও তাঁর সহোদর ভাই বিনয়ামীনকে বেশি ভালবাসেন, আমাদের ওপর প্রাধান্য দেন, অথচ আমরা দশ ভাই, একটি শক্তিশালী দল, উচিত ছিল আমাদেরকে ভালবাসা এবং মর্যাদা দেয়া। সুতরাং আমরা মনে করছি আমাদের পিতা একটি প্রকাশ্য ভুলে আছেন। অতএব ইউসুফকে হত্যা করলে বা দূরবর্তী কোন এলাকায় ফেলে আসলে আমরা আমাদের পিতার প্রিয়পাত্র হতে পারব। ইউসুফকে হত্যা করে অথবা দূরে কোথাও ফেলে এসে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তাওবাহ করে ভাল হয়ে যাব। তাই তারা পরামর্শ করল ইউসুফকে হত্যা করতে হবে। তখন তাদের মধ্যে এক ভাই পরামর্শ দিল যে, তাকে হত্যা করার প্রয়োজন নেই, হত্যা না করে কোন এক গভীর কূপে তাকে নিক্ষেপ কর। ফলে যখন কোন মানুষ কূপ থেকে পানি নিতে আসবে তখন তারা হয়ত তাকে তুলে নিয়ে যাবে আর আমাদের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে, সে আমাদের থেকে অনেক দূরে চলে যাবে, আর নিরপরাধ বালককে হত্যা করার পাপ থেকে আমরা বেঁচে যাব। অবশেষে তারা এ পরামর্শের ওপর স্থির হল। এ ভাই ইউসুফ (عليه السلام) এর প্রতি দয়ালু ছিল, তাই একটু সহানুভূতি দেখাল।
الْجُبِّ কূপ, غَيٰبَتِ অর্থ দ্বারা কূপের গভীরতাকে বুঝানো হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. শয়তানের প্রবঞ্চনায় পড়ে কারো ক্ষতি সাধন করা ঠিক নয়।
২. এখন পাপ করি পরে তাওবাহ করে নেব, এরূপ কথা ও কাজ নিজেকে ধোঁকা দেয়ার শামিল। কারণ মানুষ জানেনা সে কখন মারা যাবে।
৩. অন্যের কল্যাণ দেখে হিংসা করা উচিত নয় বরং উচিত হল অন্যের মত নিজের জন্যও আল্লাহ তা‘আলার কাছে কল্যাণ কামনা করা।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings