Surah Hud Tafseer
Tafseer of Hud : 88
Saheeh International
He said, "O my people, have you considered: if I am upon clear evidence from my Lord and He has provided me with a good provision from Him... ? And I do not intend to differ from you in that which I have forbidden you; I only intend reform as much as I am able. And my success is not but through Allah . Upon him I have relied, and to Him I return.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
হযরত শুআ’ইব (আঃ) স্বীয় কওমকে বলতে লাগলেনঃ “দেখো, আমি আমার প্রতিপালকের তরফ হতে দলীল প্রমাণের উপর প্রতিষ্টিত রয়েছি। এবং সেই দিকেই তোমাদেরকে আহবান করছি। আমার প্রতিপালক আমাকে অনুগ্রহ পূর্বক উত্তম রিযক দান করেছেন।” কেউ কেউ বলেছেন যে, এখানে উত্তম রিয্ক দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে নুবওয়াত। আবার কেউ কেউ হালাল জীবিকা অর্থ নিয়েছেন। দু’টোই হতে পারে। তিনি বলেনঃ হে আমার কওম! তোমরা আমার নীতি এরূপ পাবে না যে, আমি তোমাদেরকে ভাল কাজের হুকুম করব এবং নিজে গোপনে এর বিপরীত কাজ করবো। আমার তো একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার সাধ্য অনুযায়ী সংশোধন করা। হা, তবে আমার উদ্দেশ্যের সফলতা আল্লাহ তাআ’লার হাতেই রয়েছে। তারই উপর আমি ভরসা রাখি এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করি ও ঝুঁকে পড়ি।
হাকীম ইবনু মুআ’বিয়া তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, তাঁর (মুআ’বিয়ার) ভাই মালিক তাঁকে বলেনঃ “হে মুআ’বিয়া! রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমার প্রতিবেশীদেরকে বন্দী করে রেখেছেন। তুমি তাঁর নিকট গমন কর। তাঁর সাথে তোমার আলাপ আলোচনা হয়ে থাকে এবং তিনি তোমাকে চিনেন।” (মুআ’বিয়া বলেনঃ) আমি তখন তার সাথে গমন করলাম। সে (মালিক) বললো: “আমার প্রতিবেশীদেরকে ছেড়ে দিন। তারা মুসলমান হয়েছিল। তার এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) মুখ ফিরিয়ে নেন। সে তখন রাগান্বিত হয়ে উঠে দাঁড়ায় এবং বলেঃ “আল্লাহর কসম! যদি আপনি এটা করেন তবে লোকেরা বলাবলি করবেঃ আপনি আমাদেরকে কোন কাজের আদেশ করেন, অথচ নিজে ওর বিপরীত কাজ করে থাকেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “তুমি কি বলছো?” সে উত্তরে বললো: আল্লাহর কসম! যদি আপনি এটা করেন তবে অবশ্যই লোকেরা ধারণা করবে যে, আপনি কোন কাজের আদেশ করেন, আর নিজেই ওটার বিপরীত কাজ করে থাকেন।” বর্ণনাকারী বলেন যে, তার একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “লোকেরা কি এ কথা সত্যিই বলেছে? অবশ্যই যদি আমি এরূপ করি তবে নিশ্চয় এর শাস্তি আমাকেই ভোগ করতে হবে, তাদেরকে নয়। তোমরা তার প্রতিবেশীদেরকে ছেড়ে দাও। (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)
বাহায ইবনু হাকীম হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি (তাঁর দাদা) বলেনঃ “আমার কওমের কতকগুলি লোককে রাসূলুল্লাহ (সঃ) সন্দেহ বশতঃ পাকড়াও করে বন্দী করেন। তখন আমার কওমের একজন লোক আল্লাহর রাসূলের (সঃ) নিকট আগমন করে। ঐ সময় তিনি খুৎবা দিচ্ছিলেন। লোকটি ঐ অবস্থাতেই তাঁকে বললো: “হে মুহাম্মদ (সঃ)! আমার প্রতিবেশীদেরকে আপনি কি কারণে বন্দী করেছেন?” রাসূলুল্লাহ (সঃ) নীরব থাকেন। তখন সে বলে, নিশ্চয় লোকেরা বলাবলি করছে, আপনি কোন কিছু থেকে নিষেধ করছেন, অথচ নিজেই তা করছেন। তার এ কথা শুনে নবী (সঃ) বলেনঃ “তুমি কি বলছো?” বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি মাঝখানে বলতে শুরু করলামঃ এ কথা শুনার আপনার কোনই প্রয়োজন নেই, আমি এই ভয়েই একথা বললাম যে, যদি তিনি এটা শুনতে পান, অতঃপর আমার কওমের উপর বদ দুআ’ করেন তবে এর পরে কখনো তারা মুক্তি পাবে না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সঃ) বরাবর এর পিছনে লেগেই থাকলেন এবং শেষে তার কথা বুঝেই ফেললেন।
অতঃপর তিনি বললেনঃ “তাদের কেউ এ কথা মুখ দিয়ে বের করেছে? আল্লাহর শপথ! আমি যদি এরূপ করি তবে এর পাপের বোঝা আমাকেই বহন করতে হবে, তাদেরকে নয়। তার প্রতিবেশীদেরকে ছেড়ে দাও। (এ হাদীসটিও ইমাম আহমদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
এই প্রসঙ্গেই আবু হুমায়েদ (রাঃ) ও আবু উসায়েদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “যখন তোমরা আমার পক্ষ থেকে এমন কোন হাদীস শুনবে যা তোমাদের অন্তর অস্বীকার করে এবং তোমাদের দেহ ও চুল তার থেকে পৃথক থাকে এবং তোমরা পার যে, তোমরা ওর থেকে দূরে রয়েছে, তখন জানবে যে, তোমাদের চেয়ে এটা হতে আমি আরো বহু দূরে রয়েছি।” (ইমাম আহমদই (রঃ) এ হাদীসটিকেও স্বীয় হাদীস গ্রন্থ ‘মুসনাদ’ এ বর্ণনা করেছেন। এর সনদ বিশুদ্ধ)
ইমাম মুসলিম (রঃ) এই সনদে নিম্নের হাদীসটি তাখরীজ করেছেনঃ “যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে তখন যেন সে বলেঃ (আরবি) অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ্! আপনি আমার জন্যে আপনার রহমতের দরজাগুলি খুলে দিন।‘ আর যখন বের হবে তখন যেন বলেঃ (আরবি) অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ্! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি।‘ এর অর্থ হচ্ছে (আল্লাহ তাআ’লাই খুব ভাল জানেন): যখনই আমার পক্ষ হতে তোমাদের কাছে কোন ভাল কথা পৌঁছে তখন জেনে রাখবে আমি তোমাদের অপেক্ষা ওর বেশী নিকটবতী। আর যখনই তোমাদের কাছে কোন খারাপ কথা পৌঁছবে তখন জানবে যে, আমি তোমাদের অপেক্ষা এর থেকে বহু দূরে।”
হযরত মাসরূফ (রাঃ) বলেন যে, একজন স্ত্রীলোক হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদের (রাঃ) নিকট এসে বলেঃ “আপনি কি চুলে চুল মিলাতে নিষেধ করে থাকেন?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “হা।” তখন মহিলাটি তাঁকে বলেঃ “আপনার বাড়ীর স্ত্রীলোকদের কেউ কেউ এটা করে থাকে।” একথা শুনে হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ “যদি তা-ই হয় তবে তো আমি সৎ বান্দার অসিয়তের হিফাযত করি নাই। আমি চাই না যে, তোমাদেরকে আমি যা থেকে নিষেধ করি তা নিজেই করি।”
হযরত আবু সুলাইমান (রঃ) বলেনঃ “আমাদের কাছে হযরত উমার ইবনু আবদিল আযীযের (রঃ) নিকট থেকে চিঠিপত্র আসতো, যাতে হুকুম আহ্কাম এবং নিষেধাজ্ঞা থাকতো। শেষে তিনি লিখতেনঃ “আমি ঐ কথাই বলছি, যে কথা সৎ বান্দা বলেছিলেন। তা হচ্ছেঃ আমার যা কিছু তাওফীক হয় তা শুধু আল্লাহরই সাহায্যে হয়ে থাকে। আমি তাঁরই উপর ভরসা রাখি এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করি।”
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings