Surah Hud Tafseer
Tafseer of Hud : 12
Saheeh International
Then would you possibly leave [out] some of what is revealed to you, or is your breast constrained by it because they say, "Why has there not been sent down to him a treasure or come with him an angel?" But you are only a warner. And Allah is Disposer of all things.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২-১৪ নং আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়::
কাফির ও মুশরিকরা নানাভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিদ্রƒপ ও উপহাস করত এবং নবুওয়াতকে অস্বীকার করার পাঁয়তারা খুঁজতো। তারা বলত মুহাম্মাদ যদি সত্য নাবী হতো তাহলে তার সাথে কোন ফেরেশতা আসেনি কেন? অথবা তাকে ধন-সম্পদের ভাণ্ডার দেয়া হল না কেন? যেমন তারা বলত, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَوْلَآ أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُوْنَ مَعَه۫ نَذِيْرًا لا أَوْ يُلْقٰٓ إِلَيْهِ كَنْزٌ أَوْ تَكُوْنُ لَه۫ جَنَّةٌ يَّأْكُلُ مِنْهَا)
“তার কাছে কোন ফেরেশ্তা কেন অবতীর্ণ করা হল না, যে তার সঙ্গে থাকত সতর্ককারীরূপে?’ অথবা তাকে ধনভাণ্ডার দেয়া হয়নি কেন, অথবা তার একটি বাগান নেই কেন, যা হতে সে আহার সংগ্রহ করতে পারে?” (সূরা ফুরকান ২৫:৭-৮)
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলছেন: কাফির-মুশরিকদের এসব কথার কারণে কি তোমার কাছে যা ওয়াহী করা হয়েছে তার কিয়দাংশ বর্জন করবে? অথবা নিজের মনকে সংকুচিত করে নেবে?
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَقَدْ نَعْلَمُ أَنَّكَ يَضِيْقُ صَدْرُكَ بِمَا يَقُوْلُوْنَ)
“আমি অবশ্যই জানি, তারা যা বলে তাতে তোমার অন্তর সংকুচিত হয়; (সূরা হিজর ১৫:৯৭)
না, তাদের কথায় ওয়াহীর কোন কিছু বর্জন করা যাবে না এবং মনও সংকুচিত করা যাবে না। বরং তোমাকে মনে রাখতে হবে তুমি একজন সতর্ককারী, যাদেরকে সতর্ক করছো তারা অনেক মন্তব্য করতে পারে। তাই বলে মন সংকুচিত করে দাওয়াতী কাজ বর্জন করা যাবে না। তোমার পূর্ববর্তী নাবীদেরকে অনুরূপ উপহাস করা হয়েছিল কিন্তু তারা তাদের কাজ থেকে থেমে থাকেনি। শেষ পর্যন্ত তাদের নিকট আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য এসেছিল। আল্লাহ তা‘আলা সব বিষয়ে দায়িত্বশীল, সুতরাং তুমি তোমার কাজ চালিয়ে যাও, আল্লাহ তা‘আলা সব ব্যবস্থা করবেন।
অথবা তারা একথাও বলতে পারে, তুমি এ কুরআন নিজে আবিস্কার করে নিয়ে এসেছ। যদি তারা এরূপ কথা বলে তাহলে তাদেরকে বল: কুরআনের মত দশটি সূরা তৈরি করে নিয়ে এসো। আর এ কাজে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া তোমাদের যত সাহায্যকারী আছে তাদের সবাইকে আহ্বান কর। কিন্তু তারা এরূপ কক্ষনো করতে সক্ষম হবে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ لَّئِنِ اجْتَمَعَتِ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلٰٓي أَنْ يَّأْتُوْا بِمِثْلِ هٰذَا الْقُرْاٰنِ لَا يَأْتُوْنَ بِمِثْلِه۪ وَلَوْ كَانَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ ظَهِيْرًا)
“বল: ‘যদি কুরআনের অনুরূপ কুরআন আনয়নের জন্য মানুষ ও জিন সমবেত হয় এবং যদি তারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তারা এটার অনুরূপ আনয়ন করতে পারবে না।” (সূরা ইসরা ১৭:৮৮)
মূলত দশটি সূরা নয় একটি আয়াতের ন্যায় আয়াত তৈরি করে নিয়ে আসার জন্য মক্কার কাফিরদেরকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল কিন্তু তারা পারেনি। অথচ তৎকালীন সময়ে তারা সাহিত্যের শীর্ষ চূড়ায় ছিল। সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত সকল কাফিরদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে, যদি কেউ কুরআনের ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলতে চায়। এ সম্পর্কে সূরা বাক্বারাতেও আলোচনা করা হয়েছে।
সুতরাং তারা যদি তোমার চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা না করতে পারে তাহলে জেনে রেখ, এ কুরআন আল্লাহ তা‘আলা সজ্ঞানে নাযিল করেছেন, কারো চাহিদানুপাতে নাযিল করেননি। তাই কুরআনে কোন দ্ব্যর্থতা নেই তোমরা যাদের পূজা কর তারা সবাই ভ্রান্ত। এরপরেও কি এক আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য স্বীকার করবে না?
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. দাওয়াতী কাজে অনেক বিরূপ মন্তব্য শুনতে হবে, তাই বলে দাওয়াতী কার্যক্রম ছেড়ে দেয়া যাবে না।
২. রাসূল সাধারণ মানুষের মতই, কোন ফেরেশতা নন।
৩. কুরআন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ কিতাব, কারো রচিত কিতাব নয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings