Surah Hud Tafseer
Tafseer of Hud : 100
Saheeh International
That is from the news of the cities, which We relate to you; of them, some are [still] standing and some are [as] a harvest [mowed down].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০০-১০২ নং আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়::
قَآئِمٌ বিদ্যমান দ্বারা ঐ সকল শহর বা জনপদকে বুঝানো হয়েছে, যার ধ্বংসাবশেষ এখনও ছাদসহ বিদ্যমান রয়েছে। আর حَصِيْدٌ এর অর্থে সে শহর বা জনপদকে বুঝানো হয়েছে যা কাটা ফসলের মত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অর্থাৎ পূর্ববর্তী যুগের যে কতিপয় শহর ও জনপদের কাহিনী আমি বর্ণনা করছি, তার মধ্যে কোন কোন শহরের ধ্বংসাবশেষ এখনও বর্তমান আছে, যা শিক্ষামূলক স্মৃতি। আর কোন কোন জনপদকে এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে যা একেবারে দুনিয়া থেকে মিটে গেছে এবং শুধু ইতিহাসের পাতায় তা বাকি রয়ে গেছে। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ধ্বংস করার মাধ্যমে তাদের ওপর কোনই অত্যাচার করেননি। বরং তারা তাদের কৃতকর্মের ফলাফলস্বরূপ এ শাস্তি পেয়েছে। আর আল্লাহ তা‘আলা কারো প্রতি জুলুমকারীও নন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا اللّٰهُ يُرِيْدُ ظُلْمًا لِّلْعِبَادِ)
“আল্লাহ তো বান্দাদের প্রতি কোন জুলুম করতে চান না।” (সূরা মু’মিন ৪০:৩১) বরং এই সমস্ত মানুষেরা তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করেছে।
(وَمَنْ يَّتَعَدَّ حُدُوْدَ اللّٰهِ فَأُولٰ۬ئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ)
“আর যারা আল্লাহর সীমা অতিক্রম করবে তারাই হবে অত্যাচারী।” (সূরা বাক্বারা ২:২২৯)
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা কারো প্রতি জুলুম করেন না বরং মানুষেরা নিজেই আল্লাহ তা‘আলার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজেদের প্রতি জুলুম করে। অতএব যারা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যের ইবাদত করে তাদের সে সকল মা‘বূদ কোন উপকার করতে পারেনি এবং কিয়ামতের দিনও পারবে না। অথচ তাদের বিশ্বাস ছিল যে, তাদের মা‘বূদ ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে, কল্যাণ বয়ে আনবে।
(وَكَذٰلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ)
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যেমন পূর্ববর্তী জনপদসমূহকে অপরাধের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন তেমনি ভবিষ্যতেও যত অত্যাচারি জালিম জাতির আগমন ঘটবে তাদেরকে শাস্তি দিতে সক্ষম। হাদীসে এসেছে: আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই জালিমদেরকে অবকাশ দেন। কিন্তু যখন তাদেরকে পাকড়াও করেন, তখন কোন সুযোগ থাকে না। অতঃপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৮৬, সহীহ মুসলিম হা: ২৫৮৩) সুতরাং আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত, আমাদের দ্বারা যেন আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতামূলক কোন কাজ না হয়। কারণ সেই আল্লাহ তা‘আলা এখনো আছেন এবং থাকবেন যিনি পূর্বের বিভিন্ন অবাধ্য জাতিকে পাপের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার প্রতি জুলুম করেন না।
২. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত দুনিয়াতে যাদের উপাসনা করা হয় তারা আখিরাতে ক্ষতির কারণ হবে।
৩. মু’মিনদের সতর্ক হওয়া উচিত, তাদের দ্বারা যেন আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্যতামূলক কোন কাজ না হয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings