Surah Yunus Tafseer
Tafseer of Yunus : 88
Saheeh International
And Moses said, "Our Lord, indeed You have given Pharaoh and his establishment splendor and wealth in the worldly life, our Lord, that they may lead [men] astray from Your way. Our Lord, obliterate their wealth and harden their hearts so that they will not believe until they see the painful punishment."
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৮৮-৮৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, ফিরআউন ও তার দলবল যখন সত্যকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করলো এবং নিজেদের ভ্রান্তি ও কুফরীর উপরই কায়েম থাকলো এবং যুলুম ও ঔদ্ধত্যপনা অবলম্বন করলো, তখন মূসা (আঃ) আল্লাহকে বললেনঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি ফিরআউন ও তার লোকদেরকে দুনিয়ার শান-শওকত এবং প্রচুর ধন-সম্পদ দান করেছেন। এর ফলে তো তারা আরো পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে এবং অন্যদেরকে পথভ্রষ্ট করে দেবে।” (আরবী) অর্থাৎ (আরবী) -কে যবর দিয়ে পড়লে অর্থ হবে- হে আল্লাহ! আপনি ফিরআউনকে এই নিয়ামতগুলো দিয়ে রেখেছেন অথচ আপনি জানেন যে, সে ঈমান আনবে না। সুতরাং সে নিজেই পথভ্রষ্ট হবে। আর (আরবী) অর্থাৎ (আরবী)-কে পেশ দিয়ে পড়লে অর্থ হবে- হে আল্লাহ! আপনার ফিরআউনকে দেয়া নিয়ামতগুলো দেখে লোকেরা ধারণা করবে যে, আপনি থাকে ভালবাসেন। আপনি যখন তাকে সুখে শান্তিতে রেখেছেন, তখন ফল যেন এটাই দাড়াবে যে, লোকেরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে। সুতরাং হে আল্লাহ! তাদের ধন-সম্পদকে ধ্বংস করে দিন।
যহ্হাক (রঃ), আবুল আলিয়া (রঃ) প্রমুখ গুরুজন বলেন যে, এরপরে আল্লাহ তা'আলা ফিরআউনের মালধনকে পাথরে পরিণত করেছিলেন। কাতাদা (রঃ) বলেনঃ “আমরা জানতে পেরেছি যে, তার ফসলও পাথরের আকার ধারণ করেছিল এবং চিনি ইত্যাদিও কুচি পাথরে পরিণত হয়েছিল।
মুহাম্মাদ ইবনে কা'ব (রঃ) উমার ইবনে আবদিল আযীয (রঃ)-এর সামনে সূরায়ে ইউনুস পাঠ করেন। যখন তিনি এই আয়াতে পৌঁছেন (আরবী) তখন উমার (রঃ) বলেনঃ “হে আবু হামযা! (আরবী) কি জিনিস?” আবু হামযা উত্তরে বললেনঃ “তাদের মালধন ও আসবাবপত্র পাথরে পরিণত হয়েছিল।” তখন উমার ইবনে আবদুল আযীয (রঃ) স্বীয় গোলামকে বললেনঃ “থলেটি নিয়ে এসো।” সে থলেটি নিয়ে আসলো যাতে ছোলা ও ডিম রাখা ছিল। দেখা গেল যে, সেগুলো পাথরে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ পাকের উক্তিঃ (আরবী) এটা মহান আল্লাহ মূসা (আঃ)-এর উক্তি নকল করেছেন। তিনি বললেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি তাদের অন্তরসমূহে মোহর লাগিয়ে দেন, যেন তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি না দেখা পর্যন্ত ঈমান আনয়ন না করে।” মূসা (আঃ) ক্রোধান্বিত হয়ে ফিরআউন ও তার কওমের বিরুদ্ধে এই দুআ করেছিলেন। এই ব্যাপারে মূসা (আঃ)-এর দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছিল যে, তাদের মধ্যে সংশোধনের কোন যোগ্যতাই নেই। কাজেই তাদের নিকট থেকে কল্যাণের কোন আশাই করা যায় না। যেমন নূহ (আঃ) বলেছিলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে আমার প্রতিপালক! কাফিরদের মধ্য হতে যমীনের উপর একজনকেও অবশিষ্ট রাখবেন না। যদি আপনি তাদেরকে ভূ-পৃষ্ঠে থাকতে দেন, তবে তারা আপনার বান্দাদেরকে বিভ্রান্তই করবে এবং তাদের শুধু দুষ্কার্যকারী ও কাফির সন্তানই ভূমিষ্ট হবে।” (৭১:২৬) এ জন্যেই আল্লাহ তা'আলা মূসা (আঃ)-এর প্রার্থনা কবুল করে নেন এবং তার ভাই হারূন (আঃ) তাতে আমীন বলেন। তাই আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের দুজনের প্রার্থনা কবূল করা হলো এবং ফিরআউনীদের ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। এ আয়াতটি এটাই প্রমাণ করছে যে, যদি মুকতাদী ইমামের সূরা ফাতিহার কিরআতের উপর আমীন বলে, তবে সেও স্বয়ং সূরায়ে ফাতিহা পাঠকারী বলে গণ্য হবে।
মহান আল্লাহর উক্তিঃ (আরবী) অর্থাৎ হে মূসা (আঃ) ও হারূন (আঃ)! যেমন তোমাদের প্রার্থনা কবুল করা হলো, তেমনই তোমরাও আমার হুকুমের উপর সোজা ও দৃঢ় থাকো এবং তা কার্যকরী কর। (আরবী) বলে এটাকেই। কথিত আছে যে, এই প্রার্থনার চল্লিশ বছর পর ফিরআউনকে ধ্বংস করা হয়। আবার কেউ কেউ বলেন যে, এই প্রার্থনার চল্লিশ দিন পরেই সে ধ্বংস হয়েছিল।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings