Surah Yunus Tafseer
Tafseer of Yunus : 59
Saheeh International
Say, "Have you seen what Allah has sent down to you of provision of which you have made [some] lawful and [some] unlawful?" Say, "Has Allah permitted you [to do so], or do you invent [something] about Allah ?"
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫৯-৬০ নং আয়াতের তাফসীর:
প্রথম আয়াতে মক্কার মুশরিকদের কিছু বিশ্বাস ও কর্মকে খণ্ডন করা হয়েছে। তারা কিছু কিছু প্রাণীর নামকরণ করে যেমন বাহিরাহ, সায়েবাহ, হাম ইত্যাদি পশুকে তাদের মূর্তির নামে উৎসর্গ করে নিজেদের জন্য তা হারাম করে নিত। আবার কিছু কিছু ফসলের কিছু অংশ মূর্তির নামে রেখে দিত এবং কিছু অংশ আল্লাহ তা‘আলার জন্য নির্ধারণ করত। এভাবে আল্লাহ তা‘আলার দেয়া পবিত্র রিযিককে নিজেদের ইচ্ছামত যা খুশি হালাল করে নিত এবং যা খুশি হারাম করে নিত। এই সম্পর্কে সূরা আন‘য়ামের ১৩৬ নং আয়াতে আলোচনা রয়েছে।
আউফ বিন মালেক বিন নায়লা, তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগমন করি। ঐ সময় আকৃতি ও পোশাক পরিচ্ছদের দিক থেকে আমার অবস্থা ভাল ছিল না। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার কি কোন ধন-সম্পদ নেই? আমি বললাম: হ্যাঁ, আছে। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, কী সম্পদ আছে? আমি বললাম: সব প্রকারের সম্পদ আছে। যেমন উট, দাস-দাসী, ঘোড়া এবং বকরী। আল্লাহ তা‘আলা যেহেতু তোমাকে সম্পদ দিয়েছেন সেহেতু তিনি তার নিদর্শন তোমার গায়ে দেখতে চান। অতঃপর তিনি বললেন: তোমাদের উটনীর বাচ্চা হয়, ওর সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গ নিখুঁত হয়, কিন্তু তোমরা ক্ষুর দিয়ে ওর কান কেটে থাক। আর ওটাকে বলে থাকো বাহায়ের। ওর চামড়া চিরে দাও আর বল সরম। এসব করে নিজেদের ওপর এমন কি পরিবারের ওপর হারাম করে নাও। এটা সত্য নয়কি? আমি বললাম; হ্যাঁ, সত্য। এরপর তিনি বললেন: জেনে রেখ, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যা কিছু দান করেছেন তা সবসময়ের জন্য হালাল। কক্ষনো হারাম হতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলার হাত তোমাদের হাত অপেক্ষা অনেক শক্তিশালী। আল্লাহ তা‘আলার চাকু তোমাদের চাকু অপেক্ষা বহুগুণে তীক্ষè। (তিরমিযী হা: ২০০৬, সহীহ)
তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: তোমরা যে এসব কর আল্লাহ তা‘আলা কি তার অনুমতি দিয়েছেন, না তোমরা তাঁর প্রতি অপবাদ দিয়ে থাকো। এটা জানা কথা আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এসব করার অনুমতি দেননি। তারাই আল্লাহ তা‘আলার ওপর অপবাদ দিয়ে এসব করে থাকে।
পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কিয়ামত দিবসের শাস্তির ভয় প্রদর্শন করে বলেন, যারা আল্লাহ তা‘আলার ওপর মিথ্যা আরোপ করে, কিয়ামতের দিন সম্পর্কে তাদের ধারণা কী? আমি তাদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করব, তারা কি ভেবেছে আমি তাদের জন্য এসব অপবাদের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব না? সময়ই কথা বলে দেবে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার প্রতি অনুগ্রহশীল। আর এই অনুগ্রহের কারণে তিনি দুনিয়াতে মানুষকে পাপের জন্য শাস্তি দেন না; বরং তাদের জন্য একটি দিন নির্ধারিত করে রেখেছেন। অথবা এর অর্থ এও হতে পারে যে, তিনি পার্থিব নেয়ামত বিনা পার্থক্যে মু’মিন ও কাফির সকলকে প্রদান করেন। অথবা যে বস্তু মানুষের জন্য উপকারী তা হালাল করেছেন এবং যে বস্তু মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা হারাম করেছেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ আল্লাহ তা‘আলার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে না। সুতরাং নিজের খেয়াল-খুশি মত যা ইচ্ছা শরীয়ত বানিয়ে নেব তা হতে পারে না। বরং আল্লাহ তা‘আলা যা শরীয়তসিদ্ধ করে দিয়েছেন তাই গ্রহণ করে নিতে হবে এবং সেভাবে ইবাদত করতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার হালালকৃত বস্তু হারাম এবং হারামকৃত বস্তুকে হালাল করা যাবে না।
২. দীনের মধ্যে নিজের পক্ষ থেকে কিছু তৈরি করে প্রবেশ করানো বা বাদ দেয়া যাবে না।
৩. আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দার প্রতি স্নেহপরায়ণ, তিনি জুলুম করেন না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings