Surah Yunus Tafseer
Tafseer of Yunus : 45
Saheeh International
And on the Day when He will gather them, [it will be] as if they had not remained [in the world] but an hour of the day, [and] they will know each other. Those will have lost who denied the meeting with Allah and were not guided
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৫ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মানুষদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, তারা যখন স্ব-স্ব কবর থেকে উঠে হিসাব-নিকাশের জন্য হাশরের ময়দানে একত্রিত হবে তখন কিয়ামতের ভয়াবহতা দেখে মনে হবে তারা দুনিয়াতে একদিনের কিছু সময় অবস্থান করেছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَیَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ یُقْسِمُ الْمُجْرِمُوْنَﺃ مَا لَبِثُوْا غَیْرَ سَاعَةٍ)
“যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন পাপীরা শপথ করে বলবে যে, তারা মুহূর্তকালের বেশি অবস্থান করেনি।” (সূরা রূম ৩০:৫৫)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوْآ إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا)
“যেদিন তারা তা দেখবে, তাতে তাদের মনে হবে যেন তারা (পৃথিবীতে) এক সন্ধ্যা অথবা এক সকালের অধিক অবস্থান করেনি।” (সূরা নাযিআত ৭৯:৪৬)
হাশরের মাঠে মানুষের বিভিন্ন অবস্থা হবে, যা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে। কখনো কেউ কাউকে চিনতে পারবে না, আবার তারা একে অপরকে চিনতে পারবে কখনো পিতা তার সন্তানকে চিনবে, ভাই তার ভাইকে চিনবে যেমনভাবে তারা দুনিয়াতে একে অপরকে চিনত। কিন্তু তারা নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকবে, কেউ কারো প্রতি কোন দৃষ্টিপাত করবে না।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّوْرِ فَلَآ أَنْسَابَ بَيْنَهُمْ يَوْمَئِذٍ وَّلَا يَتَسَا۬ءَلُوْنَ)
“সুতরাং যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, এবং একে অপরের খোঁজ-খবর নেবে না।” (সূরা মু’মিনুন ২৩:১০১)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(وَلَا یَسْئَلُ حَمِیْمٌ حَمِیْمًاﭙﺊ یُّبَصَّرُوْنَھُمْﺚ یَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ یَفْتَدِیْ مِنْ عَذَابِ یَوْمِئِذٍۭ بِبَنِیْھِﭚﺫ وَصَاحِبَتِھ۪ وَاَخِیْھِﭛﺫ وَفَصِیْلَتِھِ الَّتِیْ تُؤْیْھِﭜﺫ وَمَنْ فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًاﺫ ثُمَّ یُنْجِیْھِﭝﺫ کَلَّاﺚ اِنَّھَا لَظٰیﭞﺫ)
“আর কোন অন্তরঙ্গ বন্ধু কোন অন্তরঙ্গ বন্ধুর খোঁজ নেবে না, তাদেরকে সামনা-সামনি করা হবে। অপরাধী সেই দিনের আযাব থেকে বাঁচার বিনিময়ে দিতে চাইবে সন্তান-সন্ততিকে, তার স্ত্রী ও ভাইকে, আর তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত। এবং পৃথিবীর সকলকে, যাতে এসব কিছু তাকে মুক্তি দিতে পারে। না, কক্ষনো নয়, নিশ্চয়ই এটা লেলিহান অগ্নি শিখা।” (সূরা মা‘আরিজ ৭০:১০-১৫)
প্রকৃতপক্ষে যারা আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষাতকে অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَيْلٌ يَّوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِيْنَ)
“সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্য।” (সূরা মুরসালাত ৭৭:১৫)
আল্লাহ তা‘আলা তাদের এই ক্ষতিটাকে চার ভাগে বিভক্ত করেছেন। যথা:
(১) ঈমানের দিক দিয়ে,
(২) সৎ আমলের দিক দিয়ে,
(৩) সৎ কাজের পরামর্শের ব্যাপারে ও
(৪) ধৈর্য ধারণের পরামর্শের ব্যাপারে। (সূরা আসর)
যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَالْعَصْرِﭐﺫ اِنَّ الْاِنْسَانَ لَفِیْ خُسْرٍﭑﺫ اِلَّا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّﺃ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِﭒﺟ)
“কসম যুগের, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সত্যের এবং উপদেশ দেয় সবরের।” (সূরা আসর ১০৩:১-৩)
সুতরাং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারাই যারা দুনিয়াতে থাকতে আখিরাতের পাথেয় সংগ্রহ করেনি। যারা ঈমান ও ইসলামের পরওয়া না করে যেমন খুশি চলাফেরা করেছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সকল মানুষকে আখিরাতে হাজির করা হবে, কাউকে ছেড়ে দেয়া হবে না।
২. দুনিয়ার জীবন খুবই ক্ষণিকের মনে হবে।
৩. কিয়ামতের মাঠে পরস্পর পরস্পরকে চিনতে পারবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings