Surah Yunus Tafseer
Tafseer of Yunus : 33
Saheeh International
Thus the word of your Lord has come into effect upon those who defiantly disobeyed - that they will not believe.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩১-৩৩ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নির্দেশ দিচ্ছেন সে সকল মুশরিকদেরকে জিজ্ঞাসা করার জন্য যারা আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্যদের ইবাদত করে, যে বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কোন দলীল-প্রমাণ দেননি, তোমরা বল, যারা আকাশ-জমিনে রয়েছে তাদের রিযিক কে দিয়ে থাকেন? তোমাদের শ্রবণশক্তি ও দর্শনশক্তির মালিক কে? কে জীবিতকে মৃত করেন এবং মৃতকে জীবিত করেন এবং কে সব কিছু পরিচালনা করেন? এসব প্রশ্নের উত্তর তারা একটিই দেবে তা হল সব কিছু আল্লাহ তা‘আলা করেন। যেমন সূরা যুখরুফের ৯ ও ৮৭ নং, সূরা মু’মিনূনের ৮৪-৮৯ নং, ইত্যাদি আয়াতে তাদের এ স্বীকারোক্তি উল্লেখ রয়েছে। তারা আল্লাহ তা‘আলার রুবুবিয়্যাহকে স্বীকার করেও আল্লাহ তা‘আলার উলুহিয়্যাহকে স্বীকার না করে বরং আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্যের ইবাদত করে। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, তাদেরকে বল: এরপরেও কি তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে শির্ক বর্জন করবে না?
(فَذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمُ)
সুতরাং যাকে তোমরা সকল জিনিসের মালিক বলে স্বীকার কর তিনিই প্রকৃত পক্ষে ইবাদতের যোগ্য এবং তিনিই হচ্ছেন প্রকৃত প্রভু আর তাকে ব্যতীত যে সমস্ত মা‘বূদদের তোমরা ইবাদত কর তারা সকলই ভ্রান্ত। তাই তাদের উপাসনা করা ভ্রষ্টতা ছাড়া কিছুই নয়।
(كَذٰلِكَ حَقَّتْ كَلِمَتُ)
অর্থাৎ যেরূপ এ মুশরিকরা সবকিছু স্বীকার করার পরেও নিজেদের শির্কের ওপর অটল আছে এবং তা বর্জন করতে প্রস্তুতই নয়, অনুরূপ তোমার প্রভুর এ কথাও সাব্যস্ত হয়ে গেছে যে, এরা ঈমান আনবে না। কারণ এরা ভ্রষ্টতার পথ ছেড়ে সঠিক পথ বেছে নেয়ার জন্য প্রস্তুতই নয়। সুতরাং হিদায়াত ও ঈমান তাদের নাসীবে জুটবে কিভাবে? এ কথা অন্য স্থানে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে
(وَلٰكِنْ حَقَّتْ كَلِمَةُ الْعَذَابِ عَلَي الْكٰفِرِيْنَ)
“প্রকৃতপক্ষে কাফিরদের প্রতি শাস্তির হুকুম বাস্তবায়িত হয়েছে।” (সূরা যুমার ৩৯:৭১) সুতরাং কেউ তাওহীদে রুবুবিয়্যাহ স্বীকার করলেই মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তার সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য সম্পাদন করে। কারণ মক্কার মুশরিকরাও আল্লাহ তা‘আলাকে সব কিছুর মালিক বলে স্বীকার করত, কিন্তু ইবাদতের সময় আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্যকে সংযুক্ত করে ইবাদত করত। ফলে তারা জাহান্নামের ইন্ধনে পরিণত হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সমস্ত কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।
২. আল্লাহ তা‘আলা জীবিত থেকে মৃত আর মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন।
৩. সমস্ত কার্য একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই পরিচালনা করেন।
৪. সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য করতে হবে, কোন মাযহাব বা বাবা ও পীরের জন্য বৃথা যাবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings