Surah Yunus Tafseer
Tafseer of Yunus : 27
Saheeh International
But they who have earned [blame for] evil doings - the recompense of an evil deed is its equivalent, and humiliation will cover them. They will have from Allah no protector. It will be as if their faces are covered with pieces of the night - so dark [are they]. Those are the companions of the Fire; they will abide therein eternally.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৬ ও ২৭ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা পূর্বে জান্নাতের কথা আলোচনা করার পর এখানে বর্ণনা করছেন যে, জান্নাত সকলের জন্য নয়। বরং যারা সৎ কাজ করে তাদের প্রতিদান সৎ, আর যারা অসৎ কাজ করে তাদের প্রতিদান অসৎ। যারা সৎ আমল করবে তারা তাদের সৎ কাজের প্রতিদান হিসেবে জান্নাত লাভ করবে, আর যারা মন্দ কাজ করবে তাদের প্রতিদান হিসেবে তারা জাহান্নামের আযাব ভোগ করবে। যারা ভাল কাজ করবে তাদেরকে তাদের প্রতিদান দেয়ার পরও আরো বৃদ্ধি করে দেয়া হবে। হাদীসে এসেছে, তাদেরকে দশ গুণ এমনকি সাতশত গুণ বেশি করে দেয়া হবে, বরং এর চেয়েও বেশি যা আল্লাহ তা‘আলার অন্যান্য দানের অন্তর্ভুক্ত। যেমন জান্নাতে হুর পাবে, পাবে প্রাসাদ ও আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি। আর এমন মনমুগ্ধকর জিনিস যা এ পর্যন্ত তার কাছে অজানা।
হাদীসে কুদসীতে এসেছে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لَا عَيْنٌ رَأَتْ، وَلَا أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلَا خَطَرَ عَلَي قَلْبِ بَشَرٍ
আমি আমার সৎ বান্দাদের জন্য এমন কিছু তৈরি করে রেখেছি যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শোনেনি এবং কোন মানুষের অন্তর কল্পনাও করতে পারেনি। (সহীহ বুখারী হা: ৩২৪৪, সহীহ মুসলিম হা: ২৮২৪)
এখানে زيادة বা বৃদ্ধি বলতে মূলত জান্নাতীরা যে আল্লাহ তা‘আলাকে দেখবে তা বুঝোনো হয়েছে। কারণ জান্নাতীদের জন্য এর চেয়ে বড় আর কোন পুরস্কার থাকবে না।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন, অতঃপর বললেন: যখন জান্নাতীগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে আর জাহান্নামীগণ জাহান্নামে প্রবেশ করবে, একজন ঘোষক ঘোষণা দেবে হে জান্নাতবাসীরা! আল্লাহ তা‘আলার কাছে তোমাদের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তিনি চান তা পূর্ণ করতে। জান্নাতীরা বলবে: তা কী? তিনি কি আমাদের নেকীর পাল্লা ভারী করে দেননি? আমাদের চেহারাকে উজ্জ্বল করে দেননি? আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পর্দা তুলে নেবেন, তারা আল্লাহ তা‘আলাকে দেখবে। আল্লাহ তা‘আলার শপথ, আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে যা কিছু দান করেছেন তার মধ্যে আল্লাহ তা‘আলাকে দর্শন করার চেয়ে অধিক প্রিয় আর কিছুই নেই। এটাই হবে সবচেয়ে চক্ষু ঠাণ্ডাকারী ও মনে শান্তিদায়ক। (সহীহ মুসলিম হা: ১৮১)
সুতরাং মু’মিনরা কিয়ামতের মাঠে ও জান্নাতে আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবে, এ সম্পর্কে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। (বিস্তারিত আকীদাহ তাহাবীয়া ও তাফসীর ইবনে কাসীর দ্রঃ)
قَتَرٌ وَّلَا ذِلَّةٌ অর্থাৎ কিয়ামতের মাঠে মু’মিনদের চেহারায় কোন প্রকার কালিন্য ও মলিনতা স্পর্শ করবে না। অর্থাৎ কোন দুশ্চিন্তা ও হয়রানি আক্রান্ত হবে না, যার কারণে চেহারায় মলিনতা ও দুশ্চিন্তা প্রকাশ পাবে এবং তারা সেখানে কোন প্রকার অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হবে না। বরং সসম্মানে জান্নাতে চলে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(فَوَقٰهُمُ اللّٰهُ شَرَّ ذٰلِكَ الْيَوْمِ وَلَقَّاهُمْ نَضْرَةً وَّسُرُوْرًا)
“পরিণামে আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করবেন সে দিবসের অনিষ্ট হতে এবং তাদেরকে উৎফুল্লতা ও আনন্দ দান করবেন।” (সূরা দাহর ৭৬:১১)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(تَعْرِفُ فِيْ وُجُوْهِهِمْ نَضْرَةَ النَّعِيْمِ ج يُسْقَوْنَ مِنْ رَّحِيْقٍ مَّخْتُوْمٍ)
“তুমি তাদের মুখমণ্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের দীপ্তি দেখতে পাবে, তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধতম শরাব হতে পান করানো হবে।” (সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৪)
আর যারা মন্দ আমল করবে তাদের প্রতিও কোন জুলুম বা অত্যাচার করা হবে না। তারা যা আমল করবে তার সমপরিমাণ শাস্তিই তাদেরকে দেয়া হবে। তাদেরকে কোন দ্বিগুণ, তিনগুণ দেয়া হবে না। তাদেরকে কিয়ামতের মাঠে অপমান ও লাঞ্ছনা আক্রান্ত করে নেবে। রাতের অন্ধকার কোন কিছু ছেয়ে নিলে যেমন তা দেখা যায় না তেমনি তাদের চেহারাগুলো এমন কালো আকার ধারণ করবে যে, চেহারার দিকে তাকানোই যাবে না। যেমন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وُجُوْھٌ یَّوْمَئِذٍ مُّسْفِرَةٌﭵﺫ ضَاحِکَةٌ مُّسْتَبْشِرَةٌﭶﺆ وَوُجُوْھٌ یَّوْمَئِذٍ عَلَیْھَا غَبَرَةٌﭷﺫ تَرْھَقُھَا قَتَرَةٌﭸﺚ اُولٰ۬ئِکَ ھُمُ الْکَفَرَةُ الْفَجَرَةُ)
“এবং কতক মুখমণ্ডল হবে সেদিন ধূলি মিশ্রিত। সেগুলোকে আচ্ছন্ন করবে কালো বর্ণ। তারাই কাফির ও পাপাচারী।” (সূরা আবাসা ৮০:৩৮-৪২)
সুতরাং নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত পেতে হলে এবং কঠিন শাস্তির জায়গা জাহান্নাম থেকে বাঁচতে হলে ঈমান ও সৎ আমলের কোন বিকল্প নেই। তাই আমরা অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের প্রতি সঠিক বিশ্বাস রাখব এবং বেশি বেশি সুন্নাত অনুযায়ী আমল করব, তবেই সফলতা সম্ভব।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা সৎ আমল করবে তারা ভাল প্রতিদান পাবে আর যারা অসৎ আমল করবে তারা মন্দ প্রতিফল পাবে।
২. জান্নাতীরা জান্নাতে আনন্দে থাকবে আর জাহান্নামীরা জাহান্নামে কষ্টে থাকবে ।
৩. জান্নাতীদের চেহারা থাকবে উজ্জ্বল আর পাপীদের চেহারা থাকবে মলিন ও কালো।
৪. জান্নাতীরা আল্লাহ তা‘আলা কে দেখতে পাবে কিয়ামতের মাঠে এবং জান্নাতে। আর জাহান্নামীরা কোথাও আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings