Surah Yunus Tafseer
Tafseer of Yunus : 2
Saheeh International
Have the people been amazed that We revealed [revelation] to a man from among them, [saying], "Warn mankind and give good tidings to those who believe that they will have a [firm] precedence of honor with their Lord"? [But] the disbelievers say, "Indeed, this is an obvious magician."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
নামকরণ:
’يُوْنُسَ‘ ইউনুস (عليه السلام) একজন নাবী, তাঁর পিতার নাম মাত্তা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: কোন মানুষের জন্য এ কথা বলা সমীচীন নয় যে, সে বলবে: আমি “ইউনুস ইবনু মাত্ত্বা” থেকে উত্তম। (সহীহ বুখারী হা: ৩৪১৩)। ইউনুস (عليه السلام) সম্পর্কে কুরআনের ৬টি সূরার ১৮টি আয়াতে বর্ণনা এসেছে। অত্র সূরায় তাঁর নাম ইউনুস, সূরা আম্বিয়ার ৮৭ নং আয়াতে যুন-নূন (ذو النون) এবং সূরা কলামের ৪৮ নং আয়াতে তাঁকে সাহেবুল হূত
(صاحب الحوت)
বলা হয়েছে। ‘নূন’ ও ‘হূত’ উভয়ের অর্থ মাছ। যুন-নূন ও সাহেবুল হূত অর্থ মাছওয়ালা। একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি উক্ত নামে পরিচিত হন।
অত্র সূরার ৯৮ নং আয়াতে ইউনুস (عليه السلام) ও তাঁর জাতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, সেখান থেকেই উক্ত নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে।
এ সূরাতেও কুরআনুল কারীম এবং ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যাবলী তাওহীদ, রিসালাত, আখেরাত ইত্যাদি বিষয়ের যথার্থতা বিশ্বচরাচর এবং তার মধ্যকার পরিবর্তন-পরিবর্ধনশীল ঘটনাবলীর মাধ্যমে প্রমাণ দেখিয়ে উত্তমরূপে বোধগম্য করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাথে সাথে কিছু উপদেশমূলক, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী এবং কাহিনীর অবতারণা করে সে সমস্ত লোকদেরকে সতর্ক করা হয়েছে যারা আল্লাহ তা‘আলার এসব নিদর্শন দেখেও তাঁকে ভয় করে না। পৃথিবীর মানুষের মধ্য হতে আল্লাহ তা‘আলার মনোনিত একজন পুরুষ ব্যক্তিকে রিসালাত দান করে নাবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে এটা অনেকের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হওয়া, মু’মিনদের উত্তম পরিণতি, চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টির হিকমত এবং শাস্তিকে বিলম্ব করার কারণ সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। আরো তুলে ধরা হয়েছে অধিকাংশ মানুষের কিছু বদ অভ্যাস, বাতিল মা‘বূদের ইবাদতকারীদের আশা, দুনিয়ার জীবনের উপমা, মু’মিনরা আখিরাতে আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাওয়া, মক্কার মুশরিকদের তাওহীদে রুবুবিয়্যাহর স্বীকৃতি এবং কুরআনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে। নাবীরা নিজেদের কোন উপকার বা ক্ষতি করার শক্তি রাখেন না, আল্লাহ তা‘আলার ওলীদের পরিচয় এবং তাদের উত্তম পরিণতি, কয়েকজন নাবীদের ও তাদের শত্র“দের মাঝে সংঘঠিত ঘটনা এবং তাওহীদের উলুহিয়্যাহর বিবৃতি দিয়ে সূরা শেষ করা হয়েছে।
১ ও ২ নং আয়াতের তাফসীর:
الر (আলিফ-লাম-রা) এ জাতীয় “হুরূফুল মুক্বাত্বাআত” বা বিচ্ছিন্ন অক্ষর সম্পর্কে সূরা বাকারার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে। এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন।
(تِلْكَ اٰيَاتُ الْكِتَابِ الْحَكِيْمِ)
‘এগুলো জ্ঞানগর্ভ কিতাবের আয়াত।’ অর্থাৎ এতে আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক জিনিসের ন্যায়সঙ্গতভাবে ফায়সালা দিয়েছেন, যাতে করে মানুষের মধ্যে কোন প্রকার দ্বন্দ্ব-বিরোধ না দেখা দেয়। الحكيم শব্দটি পবিত্র কুরআনে কয়েকটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। একটি অর্থ যা অনুবাদে নিয়ে আসা হয়েছে। যেমন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَالْقُرْاٰنِ الْحَكِيْمِ)-
শপথ প্রজ্ঞাময় কুরআনের। (সূরা ইয়াসীন ৩৬:২)
এই শব্দটি حاكم বা ফায়সালাকারী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ذٰلِكُمْ حُكْمُ اللّٰهِ ط يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ ط وَاللّٰهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ)
“এটাই আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফায়সালা করে থাকেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।” (সূরা মুমতাহিনা ৬০:১০)
(أَكَانَ لِلنَّاسِ عَجَبًا أَنْ أَوْحَيْنَا.... )
‘মানুষের জন্য এটা কি আশ্চর্যের বিষয়’ মূলত এটি একটি বিস্ময়কর অস্বীকৃতিমূলক তিরস্কার ও ধমক সম্বলিত জিজ্ঞাসা। আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির মধ্য হতে একজনকে রাসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন এতে অবাক হবার কিছুই নেই। কারণ, মানব জাতির মধ্য হতে রাসূল আগমনের ফলে তিনি তাদেরকে সঠিকভাবে পথ প্রদর্শন করতে সক্ষম হবেন। যদি তিনি স্বজাতি না হয়ে অন্য জাতির যেমন ফেরেশতা বা জিন জাতি হতে প্রেরিত হতেন তাহলে রিসালাতের প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হত না। কারণ, তখন তাঁর মতের সাথে মানুষের মতের ভিন্নতা দেখা দিত। তিনি রক্ত মাংসের মানুষের দুঃখ-কষ্ট, চাহিদা ইত্যাদি অনুভব করতে পারতেন না। ফলে মানুষের প্রকৃতি ও স্বভাব অনুপাতে বিধি-বিধান ও ফায়সালা দিতে পারতেন না। আল্লাহ তা‘আলা এখানে মানুষদেরকে ধমকস্বরূপ বলেছেন যে, এটা বিস্ময়ের ব্যাপার নয়। পক্ষান্তরে, যারা আশ্চর্য না হয়ে ঈমান আনবে তাদের জন্যই তাদের রবের নিকট রয়েছে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন জান্নাত। তারাই হল মু’মিন, আর কাফিররা শুধু অবিশ্বাসই করে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআনকে বিশ্বাস করার মাধ্যমে ওয়াহীর স্বীকৃতি দেয়া।
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতকে স্বীকৃতি দেয়া। আরো স্বীকৃতি দেয়া যে, তিনি একজন মানুষ, জিন বা ফেরেশতা নন।
৩. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধু সতর্ককারীরূপেই আসেননি, সুসংবাদ দানকারী হিসেবেও আগমন করেছেন।
৪. যারা সৎ আমল করে তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে এ সুসংবাদ দেয়া ইত্যাদি।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings