Surah Yunus Tafseer
Tafseer of Yunus : 17
Saheeh International
So who is more unjust than he who invents a lie about Allah or denies His signs? Indeed, the criminals will not succeed
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৫-১৮ নং আয়াতের তাফসীর:
উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা আখেরাতের প্রতি অবিশ্বাসকারীদের একটি ভ্রান্ত ধারণা ও অন্যায় আবদারের জবাব দিয়েছেন। এসব লোকেরা না জানত আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে, না ওয়াহী ও রিসালাত সম্পর্কে। তারা নাবী-রাসূলগণের আনীত কিতাবকে সাধারণ কিতাবের মত মনে করত। রাসূলগণ যখনই কোন আয়াত তেলাওয়াত করতেন তখন তা তাদের মনোঃপুত না হলে সে বিষয় তারা মানত না। তারা রাসূলগণকে বলত, এ কুরআন যেহেতু তুমি নিয়ে এসেছ সেহেতু তুমি এটি পরিবর্তন করে অন্য কুরআন নিয়ে আস অথবা এই কুরআনে যা হালাল রয়েছে তা হারাম কর আর যা হারাম রয়েছে তা হালাল কর। অন্যথায় আমরা তা মানব না। অথচ তারা এ কথাও জানত যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কোন কিছু লিখতে, পড়তে জানতেন না। আর তাঁর দ্বারা এটা পরিবর্তনও সম্ভব নয়।
কারণ প্রথমত, তিনি হচ্ছেন একজন উম্মী নাবী, দ্বিতীয় এতে যদি কোন কিছু পরিবর্তন করা হয় তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকেও আখিরাতে কঠিন শাস্তি দেবেন। সুতরাং এ সমস্ত কথা জেনে শুনেও তারা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি, রাসূলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করত, তারা আখিরাতে আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষাতকে অস্বীকার করত, পুনরুত্থান দিবসকে অস্বীকার করত। আর তারা জেনে শুনে আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন বাতিল মা‘বূদদের উপাসনা করত। তারা রাসূলের তাওহীদের দাওয়াতকে মানত না। অথচ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নবুওয়াত লাভের পূর্বে তাদের মধ্যে প্রায় দীর্ঘ ৪০ বছর অতিবাহিত করেছেন। তারা তার সত্যবাদিতা, আমানতদারিতা সম্পর্কেও অবগত ছিল। যেমন
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(أَمْ لَمْ يَعْرِفُوْا رَسُوْلَهُمْ فَهُمْ لَه۫ مُنْكِرُوْنَ)
“অথবা তারা কি তাদের রাসূলকে চিনে না যার ফলে তাকে অস্বীকার করে?” (সূরা মূ‘মিনুন ২৩:৬৯)
হিরাকল আবূ সুফিয়ানকে জিজ্ঞাসা করেছিল: তোমাদের কাছে তিনি মিথ্যা বলেছেন, এরূপ কোন প্রমাণ আছে? আবূ সুফিয়ান উত্তরে বললেন, না। আবূ সুফিয়ান তখন কাফিরদের নেতা ও সরদার, তারপরেও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যবাদিতার কথা স্বীকার করতেই হল। হিরাকল মন্তব্য করে বলেছিল: মানুুষের ব্যাপারে যিনি কখনো মিথ্যা বলেননি, আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে তিনি কিভাবে মিথ্যা বলতে পারেন? (সহীহ বুখারী হা: ৭)
তারা এ সমস্ত কথা জানা সত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এই কুরআন পরিবর্তন করতে বলত, অথচ তা সম্ভব নয়। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَإِذَا بَدَّلْنَآ اٰيَةً مَّكَانَ اٰيَةٍ لا وَّاللّٰهُ أَعْلَمُ بِمَا يُنَزِّلُ)
“আমি যখন এক আয়াতের পরিবর্তে অন্য এক আয়াত উপস্থিত করি আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তা তিনিই ভাল জানেন।” (সূরা নাহল ১৬:১০১)
সুতরাং যারা সত্য জানার পরেও আল্লাহ তা‘আলার ওপর মিথ্যারোপ করবে অথবা আল্লাহ তা‘আলার কোন আয়াতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে তাদের চেয়ে অধিক জালিম আর কেউ হতে পারে না।
আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী মুশরিকরা এমন জিনিসের উপাসনা করে যা তাদের কোন উপকার করতে পারে না এবং অপকারও করতে পারে না। তারা এমন উপাস্য যে, যারা তাদের নিজেদেরই কোন কিছু রদবদল করতে পারে না, অথচ তাদের ধারণা যে, আমরা যদি তাদের ইবাদত করি তাহলে তারা আমাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার দরবারে শাফা‘আত করবে। অথচ আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ব্যতীত কেউ তাঁর সামনে সেদিন কথাই বলতে পারবে না। এ সম্পর্কে সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং তারা যে বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্যান্য বাতিল মা‘বূদের ইবাদত করে সে বিশ্বাস ও কর্ম কোন উপকারে আসবে না। বরং তারা ও তাদের মা‘বূদেরা সবাই জাহান্নামে যাবে।
আয়াত হতে শিক্ষনীয় বিষয়:
১. নাবী, রাসূল ও রিসালাত সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ করতে হবে।
২. আখিরাতের সাক্ষাতকে অস্বীকার করা যাবে না।
৩. যে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে সে সবচেয়ে বড় অত্যাচারী।
৪. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কারো ইবাদত করা যাবে না।
৫. আল্লাহ তা‘আলার অনুমতি ব্যতীত কেউ শাফা‘য়াত করতে পারবে না।
৬. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত কেউ ক্ষতি ও উপকার করার মালিক নেই।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings