Surah Yunus Tafseer
Tafseer of Yunus : 107
Saheeh International
And if Allah should touch you with adversity, there is no remover of it except Him; and if He intends for you good, then there is no repeller of His bounty. He causes it to reach whom He wills of His servants. And He is the Forgiving, the Merciful
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০৪-১০৭ নং আয়াতের তাফসীর:
এই আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তুমি সকল মানুষকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দাও যে, তোমার তরীকা এবং মুশরিকদের তরীকা এক নয়, এক অপর থেকে ভিন্ন। আমি যে সঠিক দীন নিয়ে এসেছি, যদি তোমরা সে দীন সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ কর, যে দীন এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করার নির্দেশ দেয় এবং সকল বাতিল মা‘বূদদেরকে বর্জন করার নির্দেশ দেয়, তাহলে জেনে রেখো, আমি তোমাদের সেই বাতিল মা‘বূদের ইবাদত করি না, যাদের উপাসনা তোমরা কর। আমি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই ইবাদত করি, জীবন ও মৃত্যু তাঁরই হাতে। ফলে তিনি যখন ইচ্ছা তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিতে পারেন।
পরবর্তীতে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন যে, সকল ধর্ম পরিত্যাগ করে একমাত্র ইসলাম ধর্ম অবলম্বন করতে হবে এবং সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তা‘আলার অনুগামী হতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّيْنِ حَنِيْفًا ط فِطْرَتَ اللّٰهِ الَّتِيْ فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا)
“অতএব তুমি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখ; এটাই আল্লাহর ফিতরাত (প্রকৃতি) যার ওপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা রূম ৩০:৩০)
আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কেউ মানুষের কোন উপকার করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। মানুষের ভাল মন্দের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে কারো উপকার করতে পারেন এবং ইচ্ছা করলে কারো ক্ষতি করতে পারেন। মানুষকে যে বিষয়ে কোন উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি সে বিষয়ে কোন পীর, গাউস, কবরে শায়িত ব্যক্তি বা ওলী-আওলিয়া কারো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না। তাই আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নির্দেশ দিচ্ছেন, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত যে সকল বাতিল মা‘বূদেরা কোন উপকার বা অপকার করতে পারে না তাদেরকে কোন উপকার নিয়ে আসার জন্য বা ক্ষতি প্রতিহত করার জন্য আহ্বান কর না। যদি তা করো তাহলে শির্কে লিপ্ত হবে ও জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَا تَدْعُ مَعَ اللّٰهِ إلٰهًا اٰخَرَ ﻣ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ قف كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَه۫ ط لَهُ الْحُكْمُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ)
“তুমি আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডেক না, তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্যিকার মা‘বূদ নেই। আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।” (সূরা কাসাস ২৮:৮৮)
প্রকৃতপক্ষে সকল কল্যাণ লাভের জন্য বা অকল্যাণ প্রতিহতের জন্য আল্লাহ তা‘আলাকেই ডাকতে হবে, তাঁর কাছেই চাইতে হবে। স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলার রাসূলকে যদি কোন অকল্যাণ আক্রান্ত করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কেউ তা দূরীভূত করতে পারে না, আর তাঁকে কল্যাণ দিতে চাইলে কেউ তা প্রতিহত করতে পারে না। সুতরাং আপনি-আমি কেন আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো কাছে চাইতে যাবো, কেন আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যকে ডাকতে যাবো। তাই প্রতিটি মু’মিন মুসলিম ব্যক্তিকে আপদে-বিপদে আল্লাহ তা‘আলাকেই ডাকা উচিত, তিনি যদি আমার জন্য কল্যাণ চান তাহলে কেউ প্রতিহত করতে পারবে না এবং তিনি অকল্যাণ চাইলেও কেউ রদ করতে পারবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কোন সত্য উপাস্য নেই।
২. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কেউ উপকার ও অপকার করতে পারে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings