10:100
وَمَا كَانَ لِنَفۡسٍ أَن تُؤۡمِنَ إِلَّا بِإِذۡنِ ٱللَّهِۚ وَيَجۡعَلُ ٱلرِّجۡسَ عَلَى ٱلَّذِينَ لَا يَعۡقِلُونَ١٠٠
Saheeh International
And it is not for a soul to believe except by permission of Allah, and He will place defilement upon those who will not use reason.
৯৯-১০০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেন, হে মুহাম্মাদ (সঃ)! যদি আল্লাহ চাইতেন তবে দুনিয়ার সমস্ত মানুষই ঈমান আনতো। কিন্তু তিনি যা কিছু করেন তাতে নিপুণতা রয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছা হলে সবাই এক খেয়ালেরই হতো। কিন্তু পৃথিবীতে বিভিন্ন মতের লোক রয়েছে। সঠিক মতের উপর তারাই রয়েছে যাদের উপর আল্লাহর করুণা বর্ষিত হয়েছে। আর তাদের স্বভাবও এভাবেই বানানো হয়েছে। হে নবী (সঃ)! তোমার প্রতিপালকের এ কথাটি পূর্ণ হয়েই থাকবে। তা হচ্ছে এই যে, তিনি বলেনঃ “আমি অবশ্যই জাহান্নামকে দানব ও মানব উভয় জাতি দ্বারা পূর্ণ করবো।” যদি সকলকেই আল্লাহ হিদায়াত করতেন, তবে কি ঈমান অর্থহীন হয়ে যেতো না? তাই আল্লাহ তাআলা বলেন, হে নবী (সঃ)! তুমি কি জোর করে তাদেরকে মুমিন বানাতে চাও? না, এটা তোমার জন্যে শোভনীয় নয় এবং ওয়াজিবও নয়। আল্লাহই যাকে চান পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হিদায়াত দান করেন। তুমি তাদের জন্যে আফসোস করে করে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না এই মনে করে যে, তারা ঈমান আনছে না। আল্লাহ পাক এক জায়গায় বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি যাকে ভালবাস তাকে হিদায়াত দান। করতে পার না।” অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ “হে রাসূল (সঃ)! তোমার দায়িত্ব। হচ্ছে শুধু পৌছিয়ে দেয়া, আর হিসাব গ্রহণের দায়িত্ব আমার।” আর এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি শুধু উপদেশ দিতে থাকো, কেননা, তুমি তো শুধু উপদেষ্টা মাত্র। তুমি তাদের উপর দায়গ্রস্ত অধিকারী নও।” এ আয়াতগুলো এটাই প্রমাণ করছে যে, আল্লাহ তা'আলা যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কেউই ঈমান আনতে পারে না। জ্ঞান ও বিবেক দ্বারা যে কাজ করে না তাকে পথভ্রষ্ট করে দেয়া হয়। হিদায়াত করা ও না করার ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা ন্যায়পরায়ণ।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us