55:31

سَنَفۡرُغُ لَكُمۡ أَيُّهَ ٱلثَّقَلَانِ٣١

Saheeh International

We will attend to you, O prominent beings.

Tafsir "Tafsir Fathul Mazid" (Bengali)

৩১-৩৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর : (سَنَفْرُغُ لَكُمْ) ‘হে মানুষ ও জিন! আমি শীঘ্রই তোমাদের প্রতি (হিসাব-নিকাশের জন্য) মনোনিবেশ করব’ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে একটি ধমক। কারণ হিসাব-নিকাশের জন্য আল্লাহ তা‘আলা মনোনিবেশ করবেন এর অর্থ এই নয় যে, তিনি বর্তমানে কোন ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন; কারো দিকে খেয়াল করতে পারছেন না। এর আগের আয়াতে বলা হয়েছে আকাশ-জমিনের প্রত্যেকটি সৃষ্টজীব আল্লাহ তা‘আলার কাছে তাদের অভাব-অনটন পেশ করে এবং আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রার্থনা পূর্ণ করার ব্যাপারে সর্বদাই এক বিশেষ শানে থাকেন। আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন আবেদন ও আবেদন মঞ্জুর করা সম্পর্কিত সব কাজ বন্ধ থাকবে, তখন কেবল কাজ থাকবে একটি এবং শানও হবে একটি তা হল হিসাব-নিকাশ ও ইনছাফসহকারে ফায়সালা করা (রূহুল মাআনী)। ইমাম বুখারী বলছেন : سنحاسبكم অচিরেই হিসাব নিব।الثَّقَلٰنِ- হলো মানব ও জিন জাতি। হাদীসে এসেছে : يسمعها كل شئ إلا الثقلين অর্থাৎ ক্ববরের শাস্তি সবাই শুনতে পারবে কেবলমাত্র মানুষ ও জিন জাতি ব্যতীত। অন্য বর্ণনায় إلا الجن الإنس কথাটি উল্লেখ রয়েছে। (সহীহ বুখারী হা. ১৩৩৮)(يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ.....) ‘হে জিন ও মানুষ জাতি! আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সীমা হতে যদি তোমরা বের হতে পার, তবে বের হয়ে যাও’ অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বের বাইরে পলায়ন করে যেতে পারবে না। তিনি তোমাদেরকে তাঁর শ্রবণ, দর্শন, জ্ঞান ও ক্ষমতা দ্বারা বেষ্টন করে আছেন।(يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا....) ‘তোমাদের উভয়ের প্রতি প্রেরিত হবে অগ্নিশিখা ও ধোঁয়া, তোমরা তা প্রতিরোধ করতে পারবে না’ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন- الشواظ হলো অগ্নিশিখা।অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন : তা হলো ধোঁয়া। মুজাহিদ বলেন : شُوَاظٌ হলো অগ্নিশিখা যা ধুম্র মিশ্রিত সবুজ রং-এর যা পুড়িয়ে বা ঝলসিয়ে দেয়। وَّنُحَاسٌ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : নুহাস হলো আগুনের ধোঁয়া।অর্থাৎ এ সময়ে একটি পরিস্থিতি বিরাজ করবে। যে সময়ে তোমরা অন্যের তো দূরের কথা নিজেদেরও সাহায্য করতে পারবে না। সুতরাং সে কঠিন বিপদের সময় কেউ কারো উপকারে আসবে না। তাই যারা সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বলে, আমরা আখিরাতে তোমাদের জন্য সুপারিশ করব, আমাদের মাধ্যম ছাড়া জান্নাতে যেতে পারবে না তাদের এসব কথা ছলনা ছাড়া কিছুই না, যেখানে নাবী-রাসূলগণ কিছু করতে পারবেন না, কিয়ামতের মাঠে সকল নাবী-রাসূল মানুষকে ফিরয়ে দেবেন, কেউ সুপারিশ করতে সাহস পাবেন না কেবল নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যতীত, সেখানে তথাকথিত পীর-ফকীরদের অবস্থান কোথায়? সুতরাং আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত আমরা কোন ব্যক্তির কথায় প্ররোচিত না হয়ে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রেখে যাওয়া তরীকায় ইবাদত করব, তাহলে নাজাত পাওয়ার আশা করা যাবে। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় : ১. প্রত্যেককে আল্লাহ তা‘আলা হিসাবের সম্মুখীন করবেন।২. আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বের বাইরে কোন জায়গা নেই।৩. কোন ব্যক্তি জান্নাতে নিয়ে যেতে বা কঠিন মুহূর্ত হতে নাজাত দিতে পারবে না।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us