50:45
نَّحۡنُ أَعۡلَمُ بِمَا يَقُولُونَۖ وَمَآ أَنتَ عَلَيۡهِم بِجَبَّارٍۖ فَذَكِّرۡ بِٱلۡقُرۡءَانِ مَن يَخَافُ وَعِيدِ٤٥
Saheeh International
We are most knowing of what they say, and you are not over them a tyrant. But remind by the Qur'an whoever fears My threat.
৪১-৪৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর : (يُنَادِ الْمُنَادِ) “একজন আহ্বানকারী আহ্বান করবে” এ ঘোষণাকারী হলেন ইসরাফিল (আঃ), এ সময় শিঙ্গার ফুঁৎকারে লোকেরা হাশরের মাঠে উপস্থিত হবে। অর্থাৎ এটা হবে দ্বিতীয় ফুৎকার।(مَكَانٍ قَرِيْبٍ) ‘নিকটবর্তী স্থান’ অর্থাৎ জমিনের নিকটতম স্থান থেকে। আবার কেউ কেউ صخرة بيت المقدس (বাইতুল মুকাদ্দাসের পাথর) বুঝিয়েছেন। এটা আকাশের নিকটতম স্থান। কোন কোন বিদ্বান বলেন এর অর্থ হলো : প্রত্যেক ব্যক্তি এ শব্দের আওয়াজ এমনভাবে শুনতে পাবে যেন নিকট থেকেই আসছে। (ফাতহুল কাদীর- এ আয়াতের তাফসীর)সেদিন মানুষ সেই শিঙ্গার ফুঁৎকার সত্যি শুনতে পাবে আর ক্ববর থেকে উঠে হাশরের ময়দানে হাজির হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন : (وَنُفِخَ فِي الصُّوْرِ فَإِذَا هُمْ مِّنَ الْأَجْدَاثِ إِلٰي رَبِّهِمْ يَنْسِلُوْنَ) “শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে, তৎক্ষণাৎ তারা কবর থেকে নিজের প্রতিপালকের দিকে ছুটে যাবে।” (সূরা ইয়াসীন ৩৬ :৫১) سِرَاعًا অর্থাৎ আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিতে দ্রুত উঠবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন : (يَوْمَ يَخْرُجُوْنَ مِنَ الْأَجْدَاثِ سِرَاعًا كَأَنَّهُمْ إِلٰي نُصُبٍ يُّوْفِضُوْنَ ) “সেদিন তারা কবর হতে বের হবে দ্রুত বেগে, মনে হবে যে, তারা কোন একটি আস্তানার দিকে ছুটে আসছে।” (সূরা মাআরিজ ৭০ :৪৩)আল্লাহ তা‘আলা বলেন : (يَوْمَ يَدْعُوْكُمْ فَتَسْتَجِيْبُوْنَ بِحَمْدِه۪ وَتَظُنُّوْنَ إِنْ لَّبِثْتُمْ إِلَّا قَلِيْلًا) ‘যেদিন তিনি তোমাদেরকে আহ্বান করবেন, এবং তোমরা তাঁর প্রশংসার সাথে তাঁর আহ্বানে সাড়া দেবে এবং তোমরা মনে করবে, তোমরা অল্প সময়ই (দুনিয়াতে) অবস্থান করেছিলে।’ (সূরা ইস্রা ১৭ :৫২)রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : সর্বপ্রথম আমার কবর ফাটা হবে। (তিরমিযী হা. ৩১৪৮, সহীহ)(وَمَا أَنْتَ عَلَيْهِمْ بِجَبَّارٍ) অর্থাৎ তুমি তাদের ওপর জবরদস্তিকারী নও। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন : (لَسْتَ عَلَيْهِمْ بِمُصَيْطِرٍ إِلَّا مَنْ تَوَلّٰي وَكَفَرَ) “তুমি তাদের যিম্মাদার নও। তবে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলে ও কুফরী করলে।” (সূরা আল গাশিয়াহ্ ৮৮ :২২-২৩)অতএব যারা আল্লাহ তা‘আলার শাস্তিকে ভয় করে তাদেরকে কুরআন দ্বারা উপদেশ দাও। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَإِنْ مَّا نُرِيَنَّكَ بَعْضَ الَّذِيْ نَعِدُهُمْ أَوْ نَتَوَفَّيَنَّكَ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ الْبَلٰغُ وَعَلَيْنَا الْحِسَابُ) “তাদেরকে যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার কিছু যদি তোমাকে দেখাই অথবা যদি এর পূর্বে তোমার মৃত্যু ঘটাই (উভয় অবস্থাতেই) তোমার কর্তব্য তো কেবল প্রচার করা এবং হিসেব-নিকেশ একমাত্র আমার কাজ।” (সূরা রা‘দ ১৩ :৪০)কাতাদাহ (রহঃ) এ দু‘আটি পড়তেন : হে আল্লাহ তা‘আলা! আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করো যারা তোমার শাস্তিকে ভয় করে, তোমার প্রতিশ্রুতির আশা করে। হে অনুগ্রহকারী, হে দয়াময়। (ইবনু কাসীর, এ আয়াতের তাফসীর) আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় : ১. পুনরুত্থানের প্রমাণ পেলাম।২. দা‘ওয়াতী কাজে জবরদস্তি করার প্রয়োজন নেই।৩. কুরআন দিয়ে আহ্বান করলেন যারা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে তারা সাড়া দেবে।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us