42:52

وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ رُوحًا مِّنۡ أَمۡرِنَا‌ۚ مَا كُنتَ تَدۡرِى مَا ٱلۡكِتَٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلۡنَٰهُ نُورًا نَّهۡدِى بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَا‌ۚ وَإِنَّكَ لَتَهۡدِىٓ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسۡتَقِيمٍ٥٢

Saheeh International

And thus We have revealed to you an inspiration of Our command. You did not know what is the Book or [what is] faith, but We have made it a light by which We guide whom We will of Our servants. And indeed, [O Muhammad], you guide to a straight path -

Tafsir "Ibn Kathir Full" (Bengali)

৫১-৫৩ নং আয়াতের তাফসীর: অহীর স্থান, স্তর ও অবস্থার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, ওটা কখনো কখনো রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর অন্তরে ঢেলে দেয়া, যেটা আল্লাহর অহী হওয়া সম্পর্কে তাঁর মনে কোন সংশয় ও সন্দেহ থাকে না। যেমন ইবনে হিব্বানের (রঃ) সহীহ গ্রন্থে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “রূহুল কুদুস (আঃ) আমার অন্তরে এটা ফুকে দিয়েছেন যে, কোন ব্যক্তিই মৃত্যুবরণ করে না যে পর্যন্ত না তার রিযক ও সময় পূর্ণ হয়। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং উত্তমরূপে রুযী অনুসন্ধান কর।”মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘অথবা পর্দার অন্তরাল হতে তিনি কথা বলেন। যেমন তিনি হযরত মূসা (আঃ)-এর সাথে কথা বলেছিলেন। কেননা, তিনি কথা শুনার পর আল্লাহ তাআলাকে দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আল্লাহ তাআলা ছিলেন পর্দার মধ্যে। সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহ (রাঃ)-কে বলেনঃ “আল্লাহ পর্দার অন্তরাল ছাড়া কারো সাথে কথা বলেননি, কিন্তু তোমার পিতার সাথে তিনি সামনা সামনি হয়ে কথা বলেছেন। তিনি উহুদের যুদ্ধে কাফিরদের হাতে শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু এটা স্মরণ রাখা দরকার যে, এটা ছিল আলমে বারযাখের কথা আর এই আয়াতে যে কালামের কথা বলা হয়েছে তা হলো ভূ-পৃষ্ঠের উপরের কালাম।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ‘অথবা এমন দূত প্রেরণ ব্যতিরেকে, যেই দূত তার অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করে। যেমন হযরত জিবরাঈল (আঃ) প্রমুখ ফেরেশতা নবীদের (আঃ) নিকট আসতেন। তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়।এখানে রূহ দ্বারা কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “আমি এই কুরআনকে অহীর মাধ্যমে তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি। তুমি তো জানতে না কিতাব কি ও ঈমান কি! কিন্তু আমি এই কুরআনকে করেছি আলো যা দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পথ-নির্দেশ করি।” যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “তুমি বলে দাও- এটা ঈমানদারদের জন্যে হিদায়াত ও আরোগ্য, আর যারা ঈমানদার নয় তাদের কানে আছে বধিরতা এবং চোখে আছে অন্ধত্ব।” (৪১:৪৪)এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি তো প্রদর্শন কর শুধু সরল পথ- সেই আল্লাহর পথ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার মালিক। প্রতিপালক তিনিই। সবকিছুর মধ্যে ব্যবস্থাপক ও হুকুমদাতা তিনিই। কেউই তাঁর কোন হুকুম অমান্য করতে পারে না। সকল বিষয়ের পরিণাম আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তন করে। তিনিই সব কাজের ফায়সালা করে থাকেন। তিনি পবিত্র ও মুক্ত ঐ সব দোষ হতে যা যালিমরা তার উপর আরোপ করে থাকে। তিনি সমুচ্চ, সমুন্নত ও মহান।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us