31:1

الٓمٓ١

Saheeh International

Alif, Lam, Meem.

Tafsir "Tafsir Fathul Mazid" (Bengali)

নামকরণ: এ সূরাতে লুকমান (عليه السلام) সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবৃত হয়েছে বিধায় এ নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। তাছাড়া লুকমান (لقمان) শব্দটি এ সূরায় উল্লেখ রয়েছে। লুকমান (عليه السلام) নাবী ছিলেন, না সৎ বান্দা ছিলেনন সে সম্পর্কে সামনে আলোচনা আসছে। সূরার শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে মহা গ্রন্থ আল কুরআন তাদের জন্য হিদায়াত যারা মুহসিন, অতঃপর মুহসিনের পরিচয়, যারা অসার কথা ও গান-বাজনা ইত্যাদি নিয়ে মগ্ন থাকে তাদের অবস্থা এবং আল্লাহ তা‘আলার রুবুবিয়্যাহ সম্পর্কে, তারপর আল্লাহ তা‘আলার নেক বান্দা লুকমান (عليه السلام) তাঁর ছেলেকে উপদেশ প্রদান করেছেন তা নিয়ে এসেছেন, একশ্রেণির মানুষ রয়েছে যারা ওয়াহীর অনুসরণ বাদ দিয়ে বাপ-দাদার ভ্রান্ত তরীকা অনুসরণ করে তাদের কথা, বান্দার প্রতি আল্লাহ তা‘আলার কয়েকটি নেয়ামতের কথা এবং সবশেষে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করার নির্দেশ দিয়ে গায়েবের চাবিকাঠি যে একমাত্র তাঁর কাছে সে সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন। ১-৫ নং আয়াতের তাফসীর: الم (আলিফ-লাম-মীম) এ জাতীয় “হুরূফুল মুক্বাত্বআত” বা বিচ্ছিন্ন অক্ষর সম্পর্কে সূরা বাকারার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন। এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যারা সৎ আমল করে তথা সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে এ সকল লোকদের জন্য কুরআন হল হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ। আর তারাই হল মুহসিন বা সৎ কর্মপরায়ণ।محسن- এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে। প্রথম অর্থ হল, পিতা-মাতা, আত্মীয়, হকদার ও অভাবীদের সাথে সদ্ব্যবহারকারী। দ্বিতীয় অর্থ হলন সৎ কর্মপরায়ণ, অর্থাৎ অসৎ কর্ম থেকে দূরে থেকে সৎ কর্ম সম্পাদনকারী। তৃতীয় অর্থ হল, আল্লাহ তা‘আলার ভয়ে ভীত হয়ে ইখলাস ও একাগ্রতার সাথে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতকারী। যেমন হাদীসে জিবরীলে বলা হয়েছে, “ইহসান” হলন তুমি এমনভাবে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত কর, যাতে মনে হয় যেন তুমি আল্লাহ তা‘আলাকে দেখতে পাচ্ছ, আর যদি তুমি তাঁকে না দেখতে পাও তাহলে জেনে রেখ, তিনি তোমাকে দেখছেন। (সহীহ বুখারী হা: ৫০, সহীহ মুসলিম হা: ৮)আর এখানে কুরআনকে সৎ কর্ম পরায়ণদের জন্য হিদায়াত ও রহমত বলা হয়েছে, অথচ কুরআন সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ। এভাবে বলার কারণ হল যেহেতেু সৎ কর্ম পরায়ণগণই কুরআন দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকে তাই তাদের কথা বলা হয়েছে। এ সকল সৎ কর্মশীলরাই তাদের রবের পক্ষ থেকে সঠিক পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত, এরাই সফলকাম। এরাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এখানে সালাত ও যাকাতের সাথে বিশেষভাবে পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করার অন্যতম কারণ হল পরকালের প্রতি ঈমান না থাকলে কোন প্রকার সৎ আমল কবূল করা হবে না এবং তা ঈমানের অন্যতম একটি রুকন যা ছাড়া ঈমান সঠিক হবে না। সুতরাং সফলতা অর্জনের প্রধান উপায় হল সঠিক ঈমান ও সৎআমল। ঈমান ও আমল ছাড়া কারো মাধমে পরকালে সফল হওয়া যাবে না। তাই আমাদেরকে সৎ আমলের প্রতি সচেষ্ট হওয়া উচিত, বিশেষ করে সালাত, সিয়াম, যাকাত ইত্যাদি। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. যারা সৎ কর্মপরায়ণ তারা কুরআন থেকে উপকৃত হয়।২. মু’মিনদের বৈশিষ্ট্য হলো তারা সালাত আদায় করে, যাকাত প্রদান করে এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে।৩. পরকালের প্রতি ঈমান না থাকলে কোন প্রকার আমল কবূল করা হবে না।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us