2:58
وَإِذۡ قُلۡنَا ٱدۡخُلُواۡ هَٰذِهِ ٱلۡقَرۡيَةَ فَكُلُواۡ مِنۡهَا حَيۡثُ شِئۡتُمۡ رَغَدًا وَٱدۡخُلُواۡ ٱلۡبَابَ سُجَّدًا وَقُولُواۡ حِطَّةٌ نَّغۡفِرۡ لَكُمۡ خَطَٰيَٰكُمۡۚ وَسَنَزِيدُ ٱلۡمُحۡسِنِينَ٥٨
Saheeh International
And [recall] when We said, "Enter this city and eat from it wherever you will in [ease and] abundance, and enter the gate bowing humbly and say, 'Relieve us of our burdens.' We will [then] forgive your sins for you, and We will increase the doers of good [in goodness and reward]."
সাহায্য প্রাপ্তির পর ইয়াহূদীরা কৃতজ্ঞতার পরিবর্তে আল্লাহদ্রোহী হলো মূসা (আঃ) বানী ইসরাঈলকে নিয়ে মিসরে আসেন এবং তাদেরকে পবিত্র ভূমিতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়, যা ছিলো তাদের পৈত্রিক ভূমি। সেখানে তাদেরকে আমালুকদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করার নির্দেশ দেয়া হয়, তখন তারা কাপরুষতা প্রদর্শন করে, যার শাস্তি স্বরূপ তাদেরকে তীহের মাঠে নিক্ষেপ করা হয়। যেমন সূরাহ্ মায়িদায় বর্ণিত হয়েছে। قَرْيَة-এর ভাবার্থ হচ্ছে বায়তুল মুকাদ্দাস। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/১৮১) সুদ্দী (রহঃ), রাবী‘ ইবনু আনাস (রহঃ) কাতাদাহ (রহঃ) এবং আবূ মুসলিম (রহঃ) প্রভৃতি মনীষীগণ এটাই বলেছেন। কুর’আন মাজীদে রয়েছে যে, মূসা (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ﴿یٰقَوْمِ ادْخُلُوا الْاَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ الَّتِیْ كَتَبَ اللّٰهُ لَكُمْ وَ لَا تَرْتَدُّوْا﴾হে আমার সম্প্রদায়! এই পুণ্য ভূমিতে প্রবেশ করো যা মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন, আর পিছনের দিকে ফিরে যেয়ো না। (৫ নং সূরাহ্ মায়িদাহ, আয়াত নং ২১। আর রাযী ৩/৮২) কেউ কেউ বলেন যে, এর দ্বারা ‘আরীহা’ নামক জায়গাকে বুঝানো হয়েছে। আবার কেউ কেউ মিসরের কথা বলেছেন। কিন্তু এর ভাবার্থ ‘বায়তুল মুকাদ্দাস’ হওয়াই সঠিক কথা। এটা ‘তীহ’ হতে বের হওয়ার পরের ঘটনা। চল্লিশ বছর ধরে এভাবে উ™£ান্তের জীবন যাপন শেষে ইউসা ইবনু নূন (আঃ)-এর নেতৃত্বে আল্লাহ তা‘আলা বানী ইসরাঈলকে কোন এক শুক্রবার ঊষা লগ্নে পুণ্যভূমি অধিকার করার আদেশ দেন। ঐ দিন সূর্যাস্তের সময়কাল কিছু বিলম্বিত করা হয়, যাতে ঐ দিনই বিজয় লাভ সম্ভব হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার সময় আল্লাহ তা‘আলা স্থানটি মুসলিমের দ্বারা বিজিত করান।বিজয়ের পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে নতশিরে উক্ত শহরে প্রবেশ করার নির্দেশ দেন। (তাফসীর তাবারী ২/১১৩) বর্ণনাকারী বলেন যে, এখানে সাজদার অর্থ বিনয় ও নম্রতা। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এর দরজাটি ছিলো কিবলার দিকে। এর নাম ছিলো বাবুল হিত্তাহ্, যা ছিলো জেরুযালেম। ইমাম রাযী (রহঃ) এ কথাও বলেছেন যে, দরজার অর্থ হচ্ছে এখানে কিবলার দিক।সাজদার পরিবর্তে তারা পার্শ্বদেশের ভরে প্রবেশ করতে থাকে। মাথা নত করার পরিবর্তে উঁচু করে। حِطَّة শব্দের অর্থ হচ্ছে ক্ষমা। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এতে পাপের স্বীকারোক্তি রয়েছে। হাসান বাসরী (রহঃ) এবং কাতাদাহ (রহঃ) বলেন যে, এর অর্থ হচ্ছেঃ ‘হে মহান আল্লাহ! আমাদের ভুল ত্রটিগুলো দূর করে দিন।’অতঃপর তাদের সাথে ওয়া‘দা করা হচ্ছে যে, যদি তারা এটাই বলতে বলতে শহরে প্রবেশ করে এবং বিজয়ের সময়েও বিনয় প্রকাশ করে মহান আল্লাহর নি‘য়ামত ও নিজেদের পাপের কথা স্বীকার করে এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে এটা তাঁর নিকট খুবই প্রিয় বলে তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। এর মধ্যেই এ নির্দেশ দেয়া হয়ঃ﴿اِذَا جَآءَ نَصْرُ اللّٰهِ وَ الْفَتْحُۙ۱ وَ رَاَیْتَ النَّاسَ یَدْخُلُوْنَ فِیْ دِیْنِ اللّٰهِ اَفْوَاجًاۙ۲ فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَ اسْتَغْفِرْهُ١ؔؕ اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا﴾যখন আসবে মহান আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং তুমি মানুষকে দলে দলে মহান আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন তুমি তোমার রবের কৃতজ্ঞতা বাচক পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো এবং তাঁর সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা করো; তিনি তো সর্বাপেক্ষা অধিক অনুতাপ গ্রহণকারী। (১১০ নং সূরাহ্ আন্ নাস্র, আয়াত নং ১-৩)সহীহুল বুখারীতে আছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘বানী ইসরাঈলকে আদেশ করা হয়েছিলো যে, তারা যেন মাথা নত করে শহরে প্রবেশ করে। কিন্তু তারা তাদের পিছন দিক বাঁকা করে এবং মাথাকে সোজা রেখে প্রবেশ করলো। তাদেরকে বলা হয়েছিলোঃ তোমরা ‘হিত্ত্বা’ বলো অর্থাৎ আমাদের ভুল-ভ্রান্তির হওয়ায় ক্ষমা করুন। কিন্তু তারা এ আদেশকে অগ্রাহ্য করলো এবং বললো ‘হাব্বাতুন ফী সা‘রাতিন। ( ফাতহুল বারী ৮/১৪) এটা ছিলো তাদের চরম ঔদ্ধত্য ও অবাধ্যতার বহিঃপ্রকাশ। তাদের পাপ ও বিরোধিতার কারণে তারা মহান আল্লাহর ক্রোধে নিপতিত হয় এবং শাস্তিপ্রাপ্ত হয়। একটি মারফূ হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘মহামারী একটি শাস্তি। এটা তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছিলো। (তাফসীর ইবনু আবী হাতিম ১/১৮৬) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা শুনবে, অমুক জায়গায় মহামারী আছে তখন তোমরা সেখানে যেয়ো না। (ফাতহুল বারী ১০/১৮৯, সহীহ মুসলিম ৪/১৭৩৯) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ বিপদাপদ, দুঃখ, রোগ ইত্যাদি শাস্তি স্বরূপ, যা তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদেরকেও দেয়া হয়েছিলো। (তাফসীর তাবারী ২/১১৬)
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us