2:199
ثُمَّ أَفِيضُواۡ مِنۡ حَيۡثُ أَفَاضَ ٱلنَّاسُ وَٱسۡتَغۡفِرُواۡ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ١٩٩
Saheeh International
Then depart from the place from where [all] the people depart and ask forgiveness of Allah . Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.
১৯৯ থেকে ২০২ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে আল্লাহ তা‘আলা জাহিলী যুগের একটি কু-প্রথার মূলোৎপাটন করেছেন। তিনি বলেন, তোমরা কুরাইশদের মত আরাফা না গিয়েই কেবল মুযদালিফা থেকে ফিরে এসো না বরং লোকেরা যেখান থেকে ফিরে, তোমরা সেখান থেকেই অর্থাৎ আরাফা থেকে মুযদালিফায় ফিরে এসো। এ নির্দেশ দেয়ার কারণ হল- আরাফা হারামের বাইরে। তাই মক্কার কুরাইশরা আরাফা পর্যন্ত যেত না, বরং মুযদালিফা থেকেই ফিরে আসতো। তাই এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, কুরাইশগণ এবং যারা তাদের দীনের অনুসারী ছিল তারা (হজ্জের সময়) মুযদালিফাতে অবস্থান করত। কুরাইশগণ নিজেদেরকে ধর্মে অটল বলে দাবি করত। আর অন্য আরবগণ আরাফাতে অবস্থান করত। অতঃপর ইসলামের আগমন ঘটলে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আরাফাতে আসার, সেখানে ওকুফের (অবস্থান করার) এবং এরপর সেখান থেকে ফেরার নির্দেশ দিলেন। (أَفِيْضُوْا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ) আয়াতটি আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পর্কেই নাযিল করেছেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫২০)(ثُمَّ أَفِيْضُوْا) “প্রত্যাবর্তন কর” এখানে ইফাযা বা প্রত্যাবর্তন বলতে মুযদালিফা হতে মিনার দিকে কংকর নিক্ষেপ করার জন্য প্রত্যাবর্তন করা। আর ‘মানুষেরা’দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ইবরাহীম (আঃ)। (তাফসীর ইবনে কাসীর১/৫২৭)এরপর আল্লাহ তা‘আলা হজ্জের সকল কাজ সম্পাদন করে মিনায় কংকর নিক্ষেপের সময় তাঁকে বেশি বেশি স্মরণ করার কথা বলেছেন।(كَذِكْرِكُمْ اٰبَآءَكُمْ) “যেভাবে তোমাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে স্মরণ কর সেভাবে আল্লাহকে স্মরণ কর;” এক বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, শিশুরা যেমন সর্বদা আব্বা-আম্মা করে, সেরূপ বেশি বেশি আল্লাহ তা‘আলা-কে স্মরণ কর। আবার বলা হয়- আরবের লোকেরা হজ্জ সমাপ্ত করে মিনায় মেলা বসাতো এবং পূর্বপুরুষদের কৃতিত্ব স্মরণ করত। মুসলিমদেরকে বলা হয়েছে- ১০ই যুলহজ্জ কঙ্কর মেরে, মাথা মুণ্ডন করে এবং কাবা তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করে হজ্জ সমাপ্ত করে নেয়ার পর তোমরা তিন দিন মিনায় অবস্থান করবে, সে দিনগুলোতে বেশি বেশি আল্লাহ তা‘আলার যিকির কর। যেমন জাহিলী যুগে তোমরা পূর্বপুরুষদের স্মরণ করতে। (رَبَّنَآ اٰتِنَا فِي الدُّنْيَا) “হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালেই দান করুন” এখানে আল্লাহ তা‘আলা দু’শ্রেণির মানুষের সংবাদ দিচ্ছেন। এক শ্রেণী যারা কেবল দুনিয়া নিয়েই খুশি। তারা কেবল দুনিয়াই চায়, পরকালের প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপই করে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তাদের জন্য পরকালে কল্যাণের কোন অংশ নেই। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: কতক গ্রামবাসী মুযদালিফা অবস্থান করে বলত- হে আল্লাহ! এ বছর ভালভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করুন যেন ফসল ভাল হয় এবং ভাল সন্তান দান করুন ইত্যাদি। পক্ষান্তরে মু’মিনরা উভয় জগতের জন্য দু‘আ করত। তাই তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। এ প্রার্থনার মধ্যে ইহজগত ও পরজগতের সমুদয় মঙ্গল একত্রিত করা হয়েছে এবং সকল অমঙ্গল হতে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (رَبَّنَآ اٰتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ) দু‘আটি বেশি বেশি পড়তেন। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫২২) এটাই হল মু’মিনদের বৈশিষ্ট্য। আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. হজ্জের সব বিধি-বিধান পালনে সবাই সমান।২. মিনায় জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপের সময় বেশি পরিমাণে যিকির বা আল্লাহ তা‘আলার স্মরণ করা কর্তব্য।৩. মু’মিনগণ উভয় জগতের জন্যই দু‘আ করবে।৪. (رَبَّنَآ اٰتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً) এর ফযীলত জানলাম।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us