23:74

وَإِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأَخِرَةِ عَنِ ٱلصِّرَٰطِ لَنَٰكِبُونَ٧٤

Saheeh International

But indeed, those who do not believe in the Hereafter are deviating from the path.

Tafsir "Tafsir Fathul Mazid" (Bengali)

৬৮-৭৫ নং আয়াতের তাফসীর: يَدَّبَّرُوا অর্থ চিন্তা করা, গবেষণা করা, الْقَوْلَ দ্বারা উদ্দেশ্য কুরআন। অর্থাৎ কাফির-মুশরিকরা যদি কুরআন নিয়ে চিন্তা করত, গবেষণা করত তাহলে ঈমান না আনার প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যেত। যদি তারা সত্য জানার জন্য কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করত তাহলে তারা বুঝতে পারত যে, এ কুরআন সত্য গ্রন্থ এবং এর ওপর ঈমান নিয়ে আসার সৌভাগ্য হত। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:(أَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَ ط وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللّٰهِ لَوَجَدُوْا فِيْهِ اخْتِلَافًا كَثِيْرًا)‏ “তবে কি তারা কুরআন সম্বন্ধে অনুধাবন করে না? এটা যদি আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে আসত তবে তারা তাতে অবশ্যই অনেক অসঙ্গতি পেত।” (সূরা নিসা ৪:৮২) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:(أَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَ أَمْ عَلٰي قُلُوْبٍ أَقْفَالُهَا) “তবে কি তারা কুরআন সম্বন্ধে চিন্তা-ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরে তালা লেগে গেছে?্র” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:২৪)মূলত তারা সত্যকে জানার ও বুঝার জন্য কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করত না। তারা ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে চিন্তা-ভাবনা করত যার ফলে তারা সত্য বুঝত না এবং পথপ্রাপ্তও হয়নি।অথবা তাদের ঈমান আনতে এটা কি প্রতিবন্ধক হল যে, তারা রাসূলকে চিনে না? না চিনার কোন কারণ নেই, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো তাদের কাছে বড় হয়েছে, তাদের চোখের সামনে লালিত-পালিত হয়েছে। তারাই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল আমীন বলে খেতাব দিয়েছে। নাকি তারা বলতে চায় মুহাম্মাদ পাগল। তিনি তো পাগলও নন, গণকও নন (সূরা তুর ৫২:২৯)। প্রকৃতপক্ষে এসব কিছুই না, বরং তাদের কাছে সত্য আসার পরেও অধিকাংশরাই সত্য গ্রহণ করতে অপছন্দ করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (لَقَدْ جِئْنٰكُمْ بِالْحَقِّ وَلٰكِنَّ أَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كَارِهُوْنَ)‏ “(আল্লাহ তা‘আলা বলবেন:) অবশ্যই আমি তোমাদের নিকট সত্য পৌঁছিয়েছিলাম; কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই ছিল সত্যকে অপছন্দকারী।” (সূরা যুখরুফ ৪৩:৭৮)অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এ সত্য তথা দীন ও শরীয়ত যদি তাদের কামনা-বাসনা অনুযায়ী হত তাহলে আকাশমণ্ডলী, জমিন ও তাদের মধ্যে যা কিছু রয়েছে সকল কিছু ফেতনা-ফাসাদে পরিপূর্ণ হয়ে যেত। যেমন তাদের কামনা-বাসনা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:(وَقَالُوْا لَوْلَا نُزِّلَ هٰذَا الْقُرْاٰنُ عَلٰي رَجُلٍ مِّنَ الْقَرْيَتَيْنِ عَظِيْمٍ) “এবং তারা বলে: এই কুরআন কেন অবতীর্ণ করা হল না দুই জনপদের কোন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তির ওপর?” (সূরা যুখরুফ ৪৩:৩১)(وَلَوْ رَحِمْنٰهُمْ) অর্থাৎ যারা ঈমানদার নয় তাদেরকে যতই রহম করি না কেন, আর বিপদ থেকে যতই মুক্তি দেই আবার তারা অবাধ্য কাজে লিপ্ত হবে। এটাই হল কাফিরদের স্বভাব। তারা বিপদে পড়লে আল্লাহ তা‘আলার কাছে কাকুতি-মিনতি করে বলে, আর কখনো অবাধ্য কাজে জড়িত হবে না, কিন্তু বিপদ থেকে মুক্তি দিলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. সত্যকে জানার জন্য কুরআন নিয়ে গবেষণা করতে হবে।২. কুরআন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত কিতাব।৩. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)‎ সত্যসহ প্রেরিত রাসূল। তিনি কোন পাগল নন।৪. কুরআন অবতীর্ণের উদ্দেশ্য হল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।৫. কাফিরদেরকে দুনিয়ার শাস্তি দিয়ে ভয় দেখালেও ভয় চলে গেলে তারা পূর্বের অবস্থায় ফিয়ে যায়।৬. মানুষকে সত্য পথের দিকে আহ্বান করতে বিনিময় গ্রহণ না করাই উত্তম।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us