23:29

وَقُل رَّبِّ أَنزِلۡنِى مُنزَلاً مُّبَارَكًا وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلۡمُنزِلِينَ٢٩

Saheeh International

And say, 'My Lord, let me land at a blessed landing place, and You are the best to accommodate [us].' "

Tafsir "Tafsir Fathul Mazid" (Bengali)

২৩-৩০ নং আয়াতের তাফসীর: আলোচ্য আয়াতগুলোতে নূহ (عليه السلام)-এর জাতিকে তাওহীদের দিকে দাওয়াত, দাওয়াত পেয়ে জাতির অবস্থান এবং তাদের শেষ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম রাসূল হিসেবে প্রেরণ করলেন নূহ (عليه السلام)-কে। তাঁর জাতি ছিল মূর্তিপূজক, ভাল লোকদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে তারা মূর্তিপূজায় লিপ্ত হয়। তিনি তাদেরকে মূর্তিপূজা বাদ দিয়ে এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করার দিকে আহ্বান করেন এবং তাদেরকে জানিয়ে দেনন আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্যিকার কোন মা‘বূূদ নেই, তিনিই সকল ইবাদত পাওয়ার হকদার। নূহ (عليه السلام)-এর জাতির মধ্যে যারা সম্ভ্রান্ত, উচ্চ বংশের এবং ক্ষমতাসীন তারা কুফরী করল এবং নূহ (عليه السلام)-কে তাদের মত একজন সাধারণ মানুষ বলে দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করল। তাদের দাবীন এ ব্যক্তি তোমাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে চায়, আল্লাহ তা‘আলা যদি আমাদের হিদায়াত দেয়ার জন্য কাউকে প্রেরণ করতেন তাহলে ফেরেশতা প্রেরণ করতেন। অথবা এ লোকটির মাঝে পাগলামী রয়েছে, তার মৃত্যু অবধি অপেক্ষা কর। নূহ (عليه السلام)-কে জাতির লোকেরা এভাবে প্রত্যাখ্যান করলে আল্লাহ তা‘আলার নিকট তিনি প্রার্থনা করলেন যে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করুন। যেমন তিনি বললেন, (فَدَعَا رَبَّه۫ أَنِّيْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِرْ) “তখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল:‎ আমি তো পরাজিত, অতএব, তুমি আমাকে সাহায্য কর।” (সূরা ক্বামার ৫৪:১০)নূহ (عليه السلام)-এর এ প্রার্থনা শুনে আল্লাহ তা‘আলা ওয়াহী করলেন যে, তুমি আমার তত্ত্বাবধানে ও আমার ওয়াহী অনুযায়ী নৌযান তৈরী কর, কারণ আমি তোমাকে দেখছি ও শুনছি। যখন তুফান প্রেরণের নির্দেশ চলে আসবে, তথা পৃথিবী বিদীর্ণ হয়ে পানি প্রবাহিত হবে এমনকি আগুন জ্বালানো হয় এমন স্থান থেকেও পানি বের হবে তখন প্রত্যেক প্রকার প্রাণির নর-নারী নৌকাতে তুলে নিবে এবং তোমার পরিবারকেও তুলবে তবে ‘তাদেরকে ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে পূর্বে সিদ্ধান্ত‎ হয়ে গেছে’ যেমন তাঁর পুত্র। আর আমার কাছে এমন ব্যক্তিদের জন্য দু‘আ করবে না যারা জুলুম করেছে। কারণ তারা ডুবে যাবেই। এ সম্পর্কে আরো আলোচনা সূরা হূদে করা হয়েছে।অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা নূহ (عليه السلام)-কে লক্ষ্য করে বলেন, যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আসন গ্রহণ করবে তখন বলবে: সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য। যেমন আল্লাহ তা‘আলা এ সম্পর্কে বলেন: “এবং যিনি জোড়াসমূহের প্রত্যেককে সৃষ্টি করেন এবং যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেন এমন নৌযান ও চতুষ্পদ জন্তু যাতে তোমরা আরোহণ কর। যাতে তোমরা তাদের পৃষ্ঠে স্থির হয়ে বসতে পার, তারপর তোমাদের প্রতিপালকের নেয়ামত স্মরণ কর যখন তোমরা তার ওপর স্থির হয়ে বস; এবং বলঃ পবিত্র ও মহান তিনি, যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, যদিও আমরা সমর্থ ছিলাম না এদেরকে বশীভূত করতে। আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করব।” (সূরা যুখরুফ ৪৩:১২-১৪)তখন নূহ (عليه السلام) এ কথাই বললেন যা আল্লাহ তা‘আলা তাকে বলতে বললেন। যেমন নূহ (عليه السلام) বলেছিলেন আল্লাহ তা‘আলা বাণী:(وَقَالَ ارْكَبُوْا فِيْهَا بِسْمِ اللّٰهِ مَجْر۪هَا وَمُرْسٰهَا ط إِنَّ رَبِّيْ لَغَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ) “সে বলল: ‘এতে আরোহণ কর‎, আল্লাহর নামে এর গতি ও স্থিতি, আমার প্রতিপালক অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’’ (সূরা হূদ ১১:৪১)এবং তিনি আরো বললেন: হে আমার রব! আমাকে এমনভাবে অবতরণ করান যা হবে কল্যাণকর; আর আপনিই শ্রেষ্ঠ অবতরণকারী। নূহ (عليه السلام) সম্পর্কে পূর্বে আরো একাধিক স্থানে আলোচনা করা হয়েছে। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত সঠিক কোন ইলাহ নেই।২. প্রত্যেক সমাজের বিত্তবান বা ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা সঠিক পথের বিরোধিতা করেছে এবং সঠিক পথ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ৩. মযলুমের ডাকে আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই সাড়া দিয়ে থাকেন।৪. নূহ (عليه السلام)-এর নৌযানে সকল প্রাণী এক জোড়া করে উঠানো হয়েছিল।৫. সর্বাবস্থায় প্রশংসা করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলার।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us