23:114
قَٰلَ إِن لَّبِثۡتُمۡ إِلَّا قَلِيلاًۖ لَّوۡ أَنَّكُمۡ كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ١١٤
Saheeh International
He will say, "You stayed not but a little - if only you had known.
১১২-১১৬ নং আয়াতের তাফসীর: যখন জান্নাতীদেরকে জান্নাতে এবং জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে দেয়া হবে তখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে তোমরা কতদিন দুনিয়াতে অবস্থান করেছিলে? তখন তারা বলবে:(يَّتَخَافَتُوْنَ بَيْنَهُمْ إِنْ لَّبِثْتُمْ إِلَّا عَشْرًا) “সেদিন তারা নিজেদের মধ্যে চুপি চুপি বলাবলি করবে, ‘তোমরা মাত্র দশ দিন (দুনিয়াতে) অবস্থান করেছিলে।’’ (সূরা ত্বা-হা- ২০:১০৩) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:(وَيَوْمَ تَقُوْمُ السَّاعَةُ يُقْسِمُ الْمُجْرِمُوْنَ مَا لَبِثُوْا غَيْرَ سَاعَةٍ) “যেদিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, সেদিন পাপীরা শপথ করে বলবে যে, তারা মুহূর্তকালের বেশি অবস্থান করেনি।” (সূরা রূম ৩০:৫৫)হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাতীদেরকে জান্নাতে এবং জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন তখন জান্নাতীদেরকে লক্ষ্য করে বলবেন: তোমরা দুনিয়ায় কত বছর অবস্থান করেছ? তখন তারা বলবে, আমরা একদিন বা তার চেয়ে কিছু কম সময় অবস্থান করেছি। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তবে তো তোমরা বড়ই ভাগ্যবান যে, এ অল্প সময়ে তোমরা এত বেশি প্রতিদান প্রাপ্ত হয়েছ যে, আমার রহমত , সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভ করেছ এবং এখানে চিরকাল অবস্থান করবে। অতঃপর জাহান্নামীদেরকে বলা হবে, হে জাহান্নামবাসী! তোমরা কত দিন দুনিয়াতে অবস্থান করেছ। তারা বলবে, একদিন বা তার চেয়েও কম। তখন তিনি তাদেরকে বলবেন: তোমরাতো বড়ই ক্ষতিগ্রস্ত, এ অল্প সময়ের মধ্যে তোমরা আমার অসন্তুষ্টি, ক্রোধ ও জাহান্নাম ক্রয় করে নিয়েছ। যেখানে তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে। (দুররুল মানসূর ৫/১৭)الْعَادِّيْنَ গণনাকারী দ্বারা উদ্দেশ্য হল ফেরেশতাগণ, যে সকল ফেরেশতারা মানুষের কর্ম ও আয়ু লিখে রাখত। অর্থাৎ কিয়ামতের ভয়াবহতা দেখে তাদের মাথা থেকে দুনিয়াতে অবস্থানের কথা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলে তাদের মনে হবে কিছুক্ষণ বা অর্ধ বেলা দুনিয়াতে ছিল। (إِنْ لَّبِثْتُمْ إِلَّا قَلِيْلًا) অর্থাৎ আখেরাতের চিরস্থায়ী জীবনের তুলনায় দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সময় সত্যিই খুবই অল্প। কিন্তু তোমরা দুনিয়াতে তা অনুধাবন করোনি। তোমাদের বলা হয়েছিল আখেরাত উত্তম ও চিরস্থায়ী, কিন্তু দুনিয়ার মোহে পড়ে আখেরাতকে মূল্যায়ন করোনি, আখেরাতের প্রতি ঈমান আনোনি। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা সকল মানুষদেরকে লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা কি মনে করেছ যে, আমি তোমাদেরকে কোন উদ্দেশ্য ছাড়াই সৃষ্টি করেছি? তোমরা দুনিয়াতে উপভোগ করবে, আর কোন আদেশ বা নিষেধ জারি করা হবেনা? আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (أَيَحْسَبُ الْإِنْسَانُ أَنْ يُّتْرَكَ سُدًي) “মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনিই ছেড়ে দেয়া হবে?” (সূরা কিয়ামাহ ৭৫:৩৬)না, বরং তোমাদেরকে সৃষ্টি করার পিছনে একটি মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। তা হল তোমরা এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ) “আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও মানুষকে এজন্য যে, তারা একমাত্র আমারই ইবাদত করবে।” (সূরা যারিআত ৫১:৫৬)সুতরাং মানুষ আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে যে অমূলক ধারণা করে থাকে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে। অতএব আমরা জানতে পারলাম আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেননি। সৃষ্টি করার একটি লক্ষ্য রয়েছে। তিনি চান আমরা যেন সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করি। তবে আমরা তাঁর ইবাদত করলে তাঁর কোন উপকার হবে না বরং নিজেরই উপকার হবে। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং তা অতি অল্প সময়ের।২. কোন সৃষ্টিকেই অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি।৩. মানুষকে সবশেষে আল্লাহ তা‘আলার দিকেই ফিরে যেতে হবে। ৪. আরশের অধিপতি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তিনি ব্যতীত আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us