Surah Al Anbiya Tafseer
Tafseer of Al-Anbya : 7
Saheeh International
And We sent not before you, [O Muhammad], except men to whom We revealed [the message], so ask the people of the message if you do not know.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭-৯ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতে মক্কার কাফির-মুশরিকসহ সকল যুগের রাসূলের ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণা পোষণকারীদের জবাব দেয়া হয়েছে। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দেখে মক্কার মুশরিকরা বলছিল এ কেমন রাসূল! যে খাবার খায়, বাজারে যায়। রাসূল তো এমন হওয়া দরকার যার আমাদের মত খাওয়া, পান করা এবং বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন হবেনা, বরং রাসূল হবেন একজন ফেরেশতা বা তার সাথে ফেরেশতা থাকবেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলছেন: ‘তোমার পূর্বে রাসূল হিসেবে আমি পুরুষ মানুষই পাঠিয়েছিলাম’ অর্থাৎ যত রাসূল দুনিয়াতে আগমন করেছে সবাই পুরুষ মানুষ ছিলেন। তাদের এমন শরীর দিয়েছিলেন যা খাবারের মুখাপেক্ষী ছিল, তারা চিরস্থায়ীও ছিলনা। অতএব হে মক্কাবাসী! তোমাদের যদি এ কথা বিশ্বাস না হয় তাহলে যারা জ্ঞানী তথা তোমাদের মাঝে আসমানী কিতাবের জ্ঞান রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জিজ্ঞেস কর। যেমন আহলে কিতাবরা, যারা তাওরাত ও ইনজিল পেয়েছে এবং সঠিক ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এখান থেকে আরেকটি বিষয় বুঝা গেল যে, কোন নারী নাবী হননি। কারণ নবুআতের দায়িত্ব ও কর্তব্য এমন, যা কোন নারীর স্বভাব ও প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
(وَمَآ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُّوْحِيْٓ إِلَيْهِمْ مِّنْ أَهْلِ الْقُرٰي)
“তোমার পূর্বেও জনপদবাসীর মধ্য হতে পুরুষকেই প্রেরণ করেছিলাম, যাদের নিকট ওয়াহী পাঠাতাম।” (সূরা ইউসুফ ১২:১০৯)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَ ط أَفَاْئِنْ مِّتَّ فَهُمُ الْخٰلِدُوْنَ)
“আমি তোমার পূর্বেও কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি; সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি চিরজীবী হয়ে থাকবে?” (সূরা আম্বিয়া ২১:৩৪)
যদি দুনিয়াতে ফেরেশতা বসবাস করত তাহলে ফেরেশতাকে রাসূল হিসেবে প্রেরণ করতেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ لَّوْ كَانَ فِي الْأَرْضِ مَلَا۬ئِكَةٌ يَّمْشُوْنَ مُطْمَئِنِّيْنَ لَنَزَّلْنَا عَلَيْهِمْ مِّنَ السَّمَا۬ءِ مَلَكًا رَّسُوْلًا)
“বল: ‘ফেরেশতাগণ যদি নিশ্চিন্ত হয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করত তবে আমি আকাশ হতে তাদের নিকট অবশ্যই ফেরেশ্তা রাসূল করে পাঠাতাম।’’ (সূরা ইসরা ১৭:৯৫)
أَهْلَ الذِّكْرِ
অর্থ আহলুল ইলম বা জ্ঞানী, এখানে আহলে কিতাবদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবের জ্ঞান রাখত। এ আয়াত থেকে অনেকে তাকলীদের দলীল পেশ করতে অপচেষ্টা করে থাকে। বরং এ আয়াত তাকলীদের বিরুদ্ধে দলীল। বলা হয়েছে না জানা থাকলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস করতে। আর জ্ঞানী তো একজন নয়, জ্ঞানী ব্যক্তি অনেক থাকেন। সুতরাং কোন বিষয়ে না জানা থাকলে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য একাধিক জ্ঞানীর কাছে জিজ্ঞাসা করবে।
অতএব মানুষকেই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করা মানুষদের জন্য উপযোগী ও যুক্তিযুক্ত। যেহেতু সাধারণ মানুষের মতই নাবী-রাসূলগণ মাটির তৈরী, সেহেতু তারাও আহার গ্রহণ করা, বাজারে যাতায়াত করার মুখাপেক্ষী ছিল, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং এসব প্রমাণাদি পেশ করার পরেও যারা সঠিক বিষয়ে ঈমান আনবে না তাদের ধ্বংস অনিবার্য, যেমন পূর্ববর্তীরা হয়েছিল।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সকল রাসূল মাটির তৈরি ছিলেন, মানুষের যা প্রয়োজন হত তাদেরও তাই হত।
২. জানা না থাকলে যারা জানে তাদের নিকট মানার উদ্দেশ্যে জেনে নিতে হবে।
৩. কোন মানুষ দুনিয়াতে চিরস্থায়ী নয়, এমন কি নাবী-রাসূলগণও নন।
৪. কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা আলেমের তাকলীদ করা বৈধ নয়, বরং যিনি কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সঠিক ফায়সালা দেবেন তার কথাই গ্রহণ করতে হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings