20:6

لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَا وَمَا تَحۡتَ ٱلثَّرَىٰ٦

Saheeh International

To Him belongs what is in the heavens and what is on the earth and what is between them and what is under the soil.

Tafsir "Tafsir Fathul Mazid" (Bengali)

নামকরণ: এ সূরার প্রথম আয়াত হল طٰهٰ । طٰهٰ শব্দ অর্থাৎ প্রথম আয়াত অনুসারেই এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে। সূরার শুরুতে কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য, তারপর মূসা (عليه السلام)-এর তুর পাহাড়ে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কথা বলা, ফির‘আউনের কাছে দাওয়াত, হারূন (عليه السلام)-কে নবুওয়াত প্রদান, ফির‘আউনের জাদুকরদের মুকাবেলা করা ও জাদুকরদের ঈমান আনয়ন, সামিরী কর্তৃক প্রবর্তিত বানী ইসরাঈলের গো-বাছুর পূজার কাহিনী ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সূরার শেষের দিকে যারা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান না এনে তাঁর যিকির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যারা আল্লাহ তা‘আলার সাথে শির্ক করে কিয়ামতের দিন তাদের কঠিন পরিণতি এবং নিজে সালাত আদায় ও পরিবারের সকলকে সালাত আদায়ের নির্দেশ প্রদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ১-৮ নং আয়াতের তাফসীর: (طٰھٰ ) ‘ত্বা-হা-’ এ গুলো হচ্ছে “হুরূফুল মুক্বাত্বআত” বা বিচ্ছিন্ন অক্ষরসমূহ। এ সম্পর্কে সূরা বাক্বারার শুরুতে আলোচনা করা হয়েছে। এর আসল উদ্দেশ্য বা অর্থ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন।لِتَشْقٰٓي অর্থাৎ ও কুরআন নাযিল ও শরীয়ত প্রদান করার উদ্দেশ্য এটা নয় যে, তুমি কষ্ট পাও। বরং তা প্রদান করা হয়েছে যাতে এর মাধ্যমে সৌভাগ্য ও সফলতা অর্জন করতে পার। (তাফসীর সা‘দী) পরের আয়াতে সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে যারা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে তারা যেন উপদেশ গ্রহণ করতে পারে এজন্য কুরআন নাযিল করা হয়েছে । যেমন আল্লাহ অন্যত্র বলেন:(سَيَذَّكَّرُ مَنْ يَّخْشٰي وَيَتَجَنَّبُهَا الْأَشْقٰي) ‏ “যে ভয় করে সে উপদেশ গ্রহণ করবে। আর তা উপেক্ষা করবে সে, যে নিতান্ত হতভাগ্য।” (সূরা আ‘লা ৮৭:১০-১১)তাফসীর আযওয়াউল বায়ানে এ আয়াতের দু’টি তাফসীর উল্লেখ করা হয়েছে:১. কাফির-মুশরিকরা ঈমান না আনার কারণে তুমি আফসোস ও দুশ্চিন্তা করবে, নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে এজন্য কুরআন নাযিল করিনি। এ দিকেই ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:(فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ عَلٰٓي اٰثَارِهِمْ إِنْ لَّمْ يُؤْمِنُوْا بِهٰذَا الْحَدِيْثِ أَسَفًا ‏)‏ “তারা এ হাদীসকে (কুরআনকে) বিশ্বাস না করলে সম্ভবত তাদের পেছনে ঘুরে তুমি দুঃখে নিজেকে ধ্বংস করে দেবে।” (সূরা কাহ্ফ ১৮:৬)২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন রাত্রিকালে সালাত আদায় করতেন তখন তাঁর পদদ্বয় ফুলে যেত। উক্ত আয়াত নাযিল করে আল্লাহ তা‘আলা বললেন: ‘তুমি কষ্ট পাও এজন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিনি’। (اَلرَّحْمٰنُ عَلَي الْعَرْشِ اسْتَوٰي) ‘দয়াময় ‘র্আশে সমুন্নত’ অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা স্বসত্তায় আরশে সমুন্নত যেভাবে তাঁর সত্তার জন্য উপযোগী। কিভাবে কিরূপে জানা নেই। যেমন ইমাম মালেক (রহঃ) বলেছেন:الاستواء معلوم، والكَيْف مجهول ، والإِيمان به واجب، والسؤال عنه بدعة আল্লাহ তা‘আলা আরশের ওপরে রয়েছেন তা জ্ঞাত, কিভাবে আছেন তা অজ্ঞাত, এ ব্যাপারে ঈমান রাখা ওয়াজিব, কোনরূপ প্রশ্ন করা বিদ‘আত। (সফওয়াতুত তাফাসীর ১/৪১৮) এ সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের ৫৪ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তিনিই আকাশ-জমিন ও এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে সব কিছুর মালিক, এমনকি মাটির নিচে যা কিছু আছে তারও তিনি মালিক। অর্থাৎ সব কিছুর সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। তিনি মানুষের প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য, স্বশব্দ ও নীরবের সকল কথা শুনতে পান, এমনকি তাদের অন্তরে যে বাসনা জাগে তাও জানেন। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (وَأَسِرُّوْا قَوْلَكُمْ أَوِ اجْهَرُوْا بِه۪ط إِنَّه عَلِيْمٌ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ)‏ “তোমরা তোমাদের কথা চুপে চুপে বল অথবা উচ্চৈঃস্বরে বল:‎ তিনি তো অন্তরযামী।” (সূরা মুলক ৬৭:১৩) সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা থেকে কোন কিছু আড়াল করা সম্ভব নয়। তাই তাঁকে ভয় করে সকল অন্যায় কাজ বর্জন করা উচিত। (اَللّٰهُ لَآ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ) অর্থাৎ সকল প্রকার ইবাদত পাওয়ার যোগ্য একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তাঁর সুন্দর সুন্দর অনেক নাম রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَا۬ءُ الْحُسْنٰي) “তিনিই আল্লাহ সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই।” (সূরা হাশর ৫৯:২৪)আল্লাহ তা‘আলার এ সুন্দর নামসমূহ ৯৯টির মাঝে সীমাবদ্ধ নয়, বরং অসংখ্য যা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কেউ জানেনা। এ সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের ১৮০ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. কুরআন কাউকে কষ্ট বা সমস্যায় নিপতিত করার জন্য নাযিল করা হয়নি। বরং মানুষকে উপদেশ দান করার জন্য নাযিল হয়েছে।২. আল্লাহ তা‘আলা আরশের ওপর সমুন্নত।৩. আকাশ-জমিনসহ যা কিছু আছে সকল কিছুর মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা।৪. আল্লাহ তা‘আলা মানুষের সকল বিষয় সম্পর্কে অবগত আছেন।৫. আল্লাহ তা‘আলার সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে। ৬. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই।

Arabic Font Size

30

Translation Font Size

17

Arabic Font Face

Help spread the knowledge of Islam

Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.

Support Us