11:13
أَمۡ يَقُولُونَ ٱفۡتَرَٮٰهُۖ قُلۡ فَأۡتُواۡ بِعَشۡرِ سُوَرٍ مِّثۡلِهِۦ مُفۡتَرَيَٰتٍ وَٱدۡعُواۡ مَنِ ٱسۡتَطَعۡتُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ١٣
Saheeh International
Or do they say, "He invented it"? Say, "Then bring ten surahs like it that have been invented and call upon [for assistance] whomever you can besides Allah, if you should be truthful."
১২-১৪ নং আয়াতের তাফসীর কাফির ও মুশরিকরা যে নানাভাবে রাসূলুল্লাহকে (সঃ) বিদ্রুপ ও উপহাস করতো এবং এর ফলে তিনি মনে কষ্ট পেতেন, তাই এখানে আল্লাহ তাআ’লা তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। যেমন তিনি তাদের উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “আর তারা বলে- এই রাসূলের (সঃ) কি হলো যে, সে খাদ্য খায় এবং বাজারে চলাফেরা করে? এই ব্যক্তির নিকট কেন ফেরেশতা পাঠানো হয় নাই? তাহলে সে তার সাথে ভয় প্রদর্শনকারী হতো? অথবা তার নিকট কোন ধনভান্ডার এসে পড়তো, কিংবা তার জন্যে কোন বাগান থাকতো, যা হতে সে খেতো? আর এই অত্যাচারী এরূপও বলে থাকে- তোমরা একজন যাদুকৃত মানুষের অনুসরণ করছো।” (২৫: ৭-৮) সুতরাং আল্লাহ তাআ’লা স্বীয় রাসূলকে (সঃ) বলছেনঃ “হে নবী (সঃ) তুমি হতোদ্যম হয়ো না এবং তাবলীগের কাজ থেকে বিরত থেকো না। তাদেরকে সত্যের প্রতি আহ্বান করতে মোটেই অবহেলা করো না। রাত দিন তাদেরকে সত্যের পথে আহ্বান করতে থাক। তাদের কষ্টদায়ক কথা যে তোমাকে দুঃখ দিচ্ছে তা আমি জানি। তাদের কথার প্রতি মোটেই ভ্রূক্ষেপ করো না। এরূপ যেন না হয় যে, তুমি কোন একটা কথা বলতে ছেড়ে দেবে বা তারা তোমার কথা মানে না বলে চুপচাপ বসে পড়বে। আমি জানি যে, তারা তোমাকে উপহাস করছে। তবে জেনে রেখো যে, তোমার পূর্ববর্তী নবীদেরও উপহাস করা হয়েছিল, অবিশ্বাস করা হয়েছিল এবং ধমকানো হয়েছিল। কিন্তু তারা ধৈর্য ধারণ করে তাবলীগের কাজে অটল ও স্থির রয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে আল্লাহর সাহায্য এসে গিয়েছিল।’এরপর আল্লাহ তাআ’লা কুরআন কারীমের মু'জিযা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যে, এই কুরআনের মত কিতাব আনাতো দূরের কথা, এর মত দশটি সূরা এমনকি একটি সূরাও রচনা করার ক্ষমতা নেই, যদিও সারা দুনিয়ার লোক মিলিতভাবে তা রচনা করার চেষ্টা করে। কেননা, এটা হচ্ছে আল্লাহ পাকের কালাম। যেমন তাঁর সত্ত্বার কোন তুলনা নেই, অনুরূপভাবে তার গুণাবলীও অতুলনীয়। এটা কখনো সম্ভব নয় যে, তাঁর কালামের মত মাখলুকের কালাম হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআ’লার সত্ত্বা এর থেকে বহু ঊর্ধ্বে এবং এর থেকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র। ইবাদত-বন্দেগীর যোগ্য একমাত্র তিনিই। হে মানুষ! যখন তোমাদের দ্বারা এটা হতে পারে না এবং আজ পর্যন্ত এটা সম্ভব হয় নাই, তখন বিশ্বাস রেখো যে, তোমরা এটা করতে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম ও অপারগ। প্রকৃতপক্ষে এটা আল্লাহরই কালাম এবং তারই নিকট থেকে অবতারিত। তাঁর জ্ঞান তাঁরই হুকুম-আহকাম এবং তারই বাধা-নিষেধ এতে বিদ্যমান রয়েছে। সাথে সাথে এটা স্বীকার করে নাও যে, প্রকৃত মা’বুদ একমাত্র তিনিই। সুতরাং এসো, ইসলামের পতাকার নীচে দাঁড়িয়ে যাও।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us